স্টাফ রিপোর্টার
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গায় সর্বদলীয় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে চুয়াডাঙ্গা থানা মসজিদের সামনে শহিদ হাসান চত্বরে ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সেক্রেটারি তুষার ইমরান এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য প্রদান করেন। স্লোগানে স্লোগানে হাদি হত্যার বিচার দাবি করে ছাত্র জনতা।
এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে শরিফ ওসমান হাদির ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তারা সমাজের শত্রু। তারা সন্ত্রাসী, তাদের কোনো দল বা পরিচয় নেই। তাদের একমাত্র পরিচয় তারা অপরাধী। হাদীকে যারা গুলি করেছে তারা দেশের বর্ডার দিয়ে বাইরের দেশে চলে যায়। বাংলাদেশের প্রশাসন কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় ? বাংলাদেশের আপামর ছাত্র জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতার মসনদে বসার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোন জুলাই যোদ্ধার হত্যাকাণ্ড আমরা মেনে নেব না। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কোনো প্রভাবশালীর চাপে যেন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বাধাগ্রস্ত না হয়।
ইসলামী ছাত্রশিবির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মো. সাগর আহমেদ বলেন, “আজ আমরা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। ওসমান হাদির এই চলে যাওয়া কোনো সাধারণ মৃত্যু নয়; এটি আমাদের সমাজ ও চলমান আন্দোলনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মো. সজিবুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে অস্ত্র মামলা, ডাকাতি মামলা ও সন্ত্রাসী হামলার আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করার দাবি জানাচ্ছি। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সদস্য মোঃ সোহেল, এনসিপি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার, ফাহিম ফয়সালসহ সাধারণ ছাত্র-জনতা।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে চুয়াডাঙ্গায় সর্বদলীয় বিক্ষোভ, ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ ও হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবী



