আলমডাঙ্গা অফিস
ন্যায়ের দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে উঠল আলমডাঙ্গা। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদী হত্যার নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ ও খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আলমডাঙ্গার ছাত্র-জনতা আজ বিক্ষোভ ও শোক মিছিল কর্মসূচি পালন করে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলটি আলিফ উদ্দিন মোড় থেকে শুরু হয়ে ৭১ স্তম্ভ মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আলিফ উদ্দিন মোড়ে এসে সমবেত হয়। এসময় পুরো এলাকা শোক, ক্ষোভ আর প্রতিবাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। হাতে হাত ধরে, চোখে অশ্রু আর কণ্ঠে আগুন—নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দৃশ্য যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ ও শোক মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক রাকিব মাহমুদ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা কামরুল হাসান কাজল, আরাফাত রহমান, তাওহিদ খান, শাকিব মাহমুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য দেন এবি পার্টির মুসাব ইবনে শাফায়েত, এনসিপির পক্ষে সালেহিন কাউনাইন (সামাউন) এবং গণ অধিকার পরিষদের খন্দকার মাশুক।
এবি পার্টির মুসাব ইবনে শাফায়েত বলেন, ওসমান হাদীর স্বপ্নকে হত্যা করা যাবে না। তার আদর্শ বাস্তবায়নে আমরা ইনকিলাব মঞ্চের আদলে একটি সাংস্কৃতিক ও গণআন্দোলন গড়ে তুলবো। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি বেঁচে থাকতে কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের ঐক্য ভাঙতে পারবে না।
সমাবেশে ছাত্রনেতা কামরুল হাসান কাজল বলেন, খুনীদের সঙ্গে আর কোনো আপস নয়। যদি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না করা হয়, তবে দেশের আপামর জনতা ফুঁসে উঠবে। সেদিন কোনো অন্যায়কারীর পালানোর জায়গা থাকবে না।
সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিতের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শোক মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করে। আলমডাঙ্গার রাজপথে আজ স্পষ্ট—ওসমান হাদীর রক্তের দায় ভুলে যাওয়ার নয়, এই লড়াই ন্যায়ের শেষ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
ওসমান হাদীর খুনীদের বিচারের দাবিতে আলমডাঙ্গায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও শোক মিছিল



