দর্শনা অফিস:
দর্শনার ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার আলোচিত শিক্ষক আরিফুজ্জামান আরিফের বিরুদ্ধে এবার পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল নেত নূর নবীকে (৩০) মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নুর নবী দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দর্শনা থানাধীন আকন্দবাড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামের মৃত জালাল মাস্টারের ছেলে দর্শনার জিএস ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আরিফুজ্জামান আরিফ গত ৭ মাস পূর্বে একই পাড়ার দর্শনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মৃত আয়নালের ছেলে নূরনবীর কাছ থেকে ৫ কাঠা জমি বিক্রির বায়না বাবদ ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে দেড় লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ক্রেতা নূরনবী ওই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বেগমপুর ভূমি অফিসে যোগাযোগ করলে ওই জমিতে তার কোন শরিক নেই বলে জানতে পারে। পরে ক্রেতা নূর নবী জমি কিনবে না বলে আরিফের নিকট তার বায়না করা বাবদ দেড় লক্ষ টাকা ফেরত চাই। এ সময় আরিফ বায়না টাকা ফেরত দিবে বলে প্রত্যেক মাসেই পাওনাদারকে ঘুরাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজারের ওয়াদুদ শাহের ছেলে টুটুল শাহকে নিয়ে দর্শনা রেলবাজার ফুড গোডাউনের সামনে পাওনা টাকা চাইতে গেলে উল্টো পাওনাদার নূর নবীকে বেধড়ক মারধর করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফুজ্জামানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার মায়ের নামে একটি জমি বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে বায়নানামার টাকা নিয়েছিলাম একই গ্রামের নূর নবীর কাছ থেকে। জমিটি আমার মায়ের নামে হওয়ায় খারিজ করতে একটু দেরি হচ্ছিল। এর মধ্যে সে বলে আমি আর জমি নেবনা আমাকে টাকা ফেরত দিতে হবে। আমি ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছিলাম এর মধ্যে তাকে টাকা ফেরত দেব। হঠাৎ করেই নূরনবী একজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে এসে আজকেই টাকা দেয়ার কথা বললে আমার সাথে তার একটু বাকবিতন্ডা হয়েছে, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ ওসি মেহেদী হাসান জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ হয়তো থানায় আসতে পারে। তবে ঘটনা যাই হোক সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



