চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে পুলিশের ফায়ারিং অনুশীলনে যুবক গুলিবিদ্ধ, উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী রেফার্ড

স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ক্যাম্পে জেলা পুলিশের চলমান বাৎসরিক মাস্কেট্রি অনুশীলনের সময় দুর্ঘটনাবশত বাবু (৩২) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা  সদরের হায়দারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত বাবু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোবি পারটেক্স মিস্ত্রি। এর আগে বিজিবির ফায়ারিং অনুশীলন চলাকালে সাতগাড়ী গ্রামের এক মেয়ে স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বাৎসরিক মাস্কেট্রি অনুশীলন-২০২৫ গত ৯, ১০ ও ১১ ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) ডিঙ্গেদাহুএর ফায়ারিং বাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুশীলন চলাকালীন সময় ফায়ারিং রেঞ্জের পেছনে এবং আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল এবং নিরাপদ স্থানে থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সায়েম আহমেদ বলেন, কোন ধরনের মাইকিং বা সতর্ক ছাড়ায় পুলিশের মাস্কেট্রি অনুশীলন চলছিল। এর আগেও পাঁচ বছর আগে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আজকে বাবু ভাই কাজের উদ্দেশ্যে সরোজগঞ্জ যাওয়ার পথে হায়দারপুর মাঠের মধ্যে চলন্ত মোটরসাইকেলে গুলিবিদ্ধ হয়। আমিও ওই সময় সাতগাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যেই তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আমি স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল হোসেন বলেন, ফায়ারিং অনুশীলনের সময় বার বার গুলি লোকালয়ে এসে মানুষ মারা যাবে এটা মেনে নেয়া যায় না। গুলি যাতে এরিয়ার বাইরে আসতে না পারে তার একটি ব্যবস্থা নেয়া উচিত কতৃপক্ষের।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, এক্স-রের পর বুকের বাম পাশে গুলি রয়েছে বলে দেখতে পায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং আশংকামুক্ত রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গা ৬-বিজিনির ফায়ারিং রেঞ্জে জেলা পুলিশের বাৎসরিক ফায়ারিং চলছিল। আমরা শুনেছি এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমি হাসপাতালে গিয়েছি। তিনি আশংকামুক্ত আছেন বলে জেনেছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *