স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলার অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন উলামা পরিষদের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার ও রবিবার) টাউন ফুটবল মাঠে দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রথম দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন রাজি। দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী মহাসম্মেলনের কথা জানান উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনাইদ আল হাবিবী ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুস্তাফা কামাল কাসেমী। এসময় নেতারা জানান, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ আশপাশের জেলাগুলোর মানুষকে ইসলামী মূল্যবোধ, সামাজিক সম্প্রীতি ও নৈতিকতার চর্চায় উৎসাহিত করতে প্রতি বছর আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করে উলামা পরিষদ। তার ধারাবাহিকতায় এ বছর জেলা সদরে আরো বড় পরিসরে মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত উলামা পরিষদ ধর্মীয় শিক্ষা উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, দাওয়াত ও তাবলিগ, সামাজিক সচেতনতা এবং নৈতিকতা বৃদ্ধিতে কাজ করে আসছে। সংগঠনটির অধীনে রক্তদান কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী যুক্ত আছেন। এদিকে গত বছরের একই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে সাংবাদিকরা বলেন, মহাসম্মেলনে গতবছর ক্যামেরা ব্যবহার করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল এবং কয়েকজন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন।
অভিযোগের জবাবে মুফতি জুনাইদ আল হাবিবী বলেন, গতবার ভিড়ের মধ্যে কিছু ফেসবুকার ও ইউটিউবাররা সাংবাদিকদের নির্ধারিত জায়গা দখল করে ফেলেছিলেন। তাদের ক্যামেরার কারণে সাধারণ দর্শক বক্তাদের দেখতে পাচ্ছিল না। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকেই সাংবাদিকদের ঠিকমতো চিনতে না পারায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। এবার আর সে ধরনের অনাকাংখিত পরিস্থিতি হবে না, ইনশাআল্লাহ। তিনি জানান, এ বছর গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য আলাদা কার্ড ও নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরাও আরও সতর্ক থাকবেন সাংবাদিকরা আল্লামা মামুনুল হকের সঙ্গে পৃথক প্রেস কনফারেন্সেরও অনুরোধ জানান, যাতে সমসাময়িক ইস্যু, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে। এ বিষয়ে আয়োজকরা বলেন, মাওলানা মামুনুল হক নির্ধারিত সময়ের আগে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে এবং প্রেস কনফারেন্সে আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রেসক্লাবকে দ্রুত জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা উলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মওলানা আব্দুস সামাদ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ রুহী, পৌর শাখার সভাপতি মুফতি আজিজুল্লাহ, সদর থানা শাখার সভাপতি মুফতি শোয়াইব আহমাদ কাসেমী, জেলা উলামা পরিষদের সদস্য মাওলানা জুবায়ের খাঁন, মুফতী আহমাদ যুবায়ের, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, আমানুল্লাহ, হাফেজ আব্দুস শুকুর ও শামীম রেজা প্রমুখ।
ওলামা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন চুয়াডাঙ্গায় দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনে



