জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লোকনাথপুরে নির্বাচনী জনসভায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

স্টাফ রিপোর্টার
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার লোকনাথপুরে  বিএনপির বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে লোকনাথপুর ফুটবল মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী বিজিএমইএ সভাপতি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জনসভায় সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিভাগীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা রাজপথে লড়াই করেছি। যেদিন লড়াই শুরু হয়েছিল আমাদের পাশে অন্য কোনো রাজনৈতিক শক্তি কিংবা সামাজিক শক্তি ছিল না। এককভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে লড়াই করেছে। আজ গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমার প্রিয় নেতা তারেক রহমান কিংবা আমার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণ-অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব একদিনের জন্য দাবি না করলেও এটি শ্বাশত সত্য, গত ১৬ বছর নিরবিচ্ছিন্ন এবং নিরন্তর লড়াই করেছে গণতন্ত্রের পক্ষে একটিমাত্র দল সেটি হচ্ছে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সেই ভোটাধিকার ফিরে পাবার লড়াই সফল হতে চলেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারীর প্রথম অর্ধে নির্বাচন হবে বলে আমরা আশা করছি। আজ কিংবা আগামীকাল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হবে।  যেই পরীক্ষা দেবার জন্য ১৮টি বছর আপনি আমি অপেক্ষা করেছি, সেই পরীক্ষার দিন ঘোষণা হতে শুরু করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে সেই পরীক্ষার প্রস্তুতি আমরা কে কতটুকু গ্রহণ করেছি।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই দামুড়হুদা জীবননগর, দর্শনার ঘরে ঘরে, আগামীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের কর্মপরিকল্পনা পৌঁছে দিতে হবে। জানাতে হবে মা-বোনদেরকে, আমরা সরকার গঠন করতে পারলে কিভাবে অস্বচ্ছল প্রতিটি পরিবারকে পারিবারিক কার্ডের আওতায় নিয়ে এসে প্রতিমাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দিতে চাই, যাতে করে সংসার পরিচালনায় মা-বোনেরা একটু হলেও স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পায়।


জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির , সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তনু, সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান (হবি), দশর্না বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, দামুড়হুদা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র নওয়াব আলী, দশর্না পৌরসভার  সাবেক পৌর মেয়র মহিদুল ইসলাম, জীবননগর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান, দশর্না পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী শওকত, আন্দলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান খোকন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান কবির, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী, দশর্না থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মেদ আলী প্রমুখ।
বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান বুলেটের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোঃ শাওন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন মালিতা। জনসভা উপলক্ষে বেলা ২টা থেকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে খন্ড খন্ড মিছিল যোগে নেতা কর্মিরা ফুটবল মাঠে এসে জড়ো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দর্শনা, দামুড়হুদা এবং জীবননগরে বিগত দুই মাসে প্রায় ১৬০টি ছোট-ছোট পথসভা করা হয়েছে। এই পথসভাগুলোতে স্থানীয় সমস্যা জানার চেষ্টা করা হয়েছে এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে। আজকের জনসভার মাধ্যমে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে প্রচারণার প্রাথমিক ধাপ শেষ করা হচ্ছে। জনগণের সমর্থন নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থীদেরকে দেশের ৩০০ আসনে বিজয়ী করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পারলে দেশের মানুষ অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবে। তিনি আরো বলেন, একটি জাতীয় নির্বাচনে দুটি বিষয় থাকে। জাতীয় সমস্যা এবং সেই সমস্যার আলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিকল্পনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের ব্যাপক উন্নতি সাধন হবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা তে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র তৈরি করা হবে যেখানে মা বোনেরা চিকিৎসা নিতে পারবেন। তাই সকলের উচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে বিজয়ী করতে ধানের শীষে ভোট দেওয়া।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *