হিন্দু মহাজোটের নেতা-কর্মীদের সাথে বিএনপির প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের মতবিনিময় সভা

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা হিন্দু মহাজোটের নেতা-কর্মীর। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শরীফুজ্জামানের বাসভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার, নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আপনাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছে। হিন্দু সম্প্রদায় শুধু চুয়াডাঙ্গার নয়, বাংলাদেশের অগ্রগতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে অমূল্য অবদান রেখেছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় আপনাদের ওপর যে ধরনের চাপ, ভীতি বা বৈষম্যের ঘটনা ঘটেছে, তা কখনোই কাম্য নয়। রাজনীতির দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করা, ভীতি সৃষ্টি করা নয়।’

‘আমি বিশ্বাস করি- ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই সম্প্রীতি নষ্ট হলে সমাজ দুর্বল হয়, দেশ পিছিয়ে যায়। তাই যদি আগামী দিনে জনগণ আমাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেন, তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- চুয়াডাঙ্গার সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যেন নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে ও সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করে, সেই ব্যবস্থা করতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’

শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে হিন্দু মুসলিম, খ্রিষ্টান বৌদ্ধ- সবাই নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারবে, উৎসব পালন করতে পারবে, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। উন্নয়ন তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা সবার জন্য হয়। আমি এলাকার শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, মন্দির ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা- সবখানেই আন্তরিকভাবে কাজ করতে চাই।’ ‘আজকে আপনাদের উপস্থিতি আমাকে আরও দৃঢ় করেছে। আপনাদের উদ্বেগ, প্রত্যাশা ও প্রস্তাবগুলোকে আমি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব। নির্বাচন সামনে আমি চাই এই নির্বাচনী পরিবেশ যেন শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। মানুষ যেন ভয় ছাড়াই ভোট দিতে পারে, এটাই আমাদের প্রধান দাবি। আমি বিশ্বাস করি- আমরা একসাথে কাজ করলে চুয়াডাঙ্গা হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ, উন্নয়নের মডেল।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাড. এম এম শাহজাহান মুকুল, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি খন্দকার আরিফ, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির আকাশ, কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের দাতা সদস্য কিশোর কুমার কুণ্ডু, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্যসচিব চির কুমার সাহা (কনক), বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ দামুড়হুদা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক বাসুদেব হালদার, বাংলাদেশ দলিত বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি বিপুল দাস, দামুড়হুদা উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সদস্যসচিব মনোরঞ্জন দাস, আলমডাঙ্গা উপজেলা হিন্দু মহাজোটের আহ্বায়ক বাবু সুধাংশু ব্যানার্জি, সদস্যসচিব দীলিপ কুমার চৌধুরী, আলমডাঙ্গা পৌর হিন্দু মহাজোটের আহ্বায়ক গৌতম কুমার পাল, যুগ্ম আহ্বায়ক রামপদ সাহা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার সদস্যসচিব সুমন কুমার ব্যানার্জি, জীবননগর উপজেলা হিন্দু মহাজোটের  সদস্যসচিব বৃন্দা ভৌমিক, জেলা হিন্দু মহাজোটের সদস্য পরিতোষ কুমার প্রামাণিক (প্রভাত), সুজন কুমার দাস, সুরঞ্জন বাবু, দেবেন হালদার, কিরণ কুমার সাহা, পলাশ কুমার দাস, সবিতা রানী সরকার মিত্র, অশোক কুমার দত্ত, স্যামসুন্দর কুণ্ডু, লক্ষণ দাস, প্রসেনজিৎ, দয়াল সর্দ্দার, নিশিকান্ত ভূইমালী সর্দ্দার, অমিত ব্যানার্জি, মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস প্রমুখ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *