স্টাফ রিপোর্টার
‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ এই প্রতিপাদকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় উদযাপিত হয়েছে ৩৪ তম আন্তর্জাতিক ও ২৭ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। এ উপলক্ষে বুধবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নয়ন কুমার রাজবংশী। সভায় জেলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিস্তর আলোচনা করা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, তিনি বলেন, যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন তারাই প্রতিবন্ধী। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী সারা দেশে ৩৬ লক্ষ প্রতিবন্ধী রয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতে ৪৩ হাজার ৫শ জন প্রতিবন্ধী আছে। বাংলাদেশে ১২ ধরনের প্রতিবন্ধী দেখতে পাওয়া যায়। এ সকল প্রতিবন্ধীদের যদি আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায় তাহলে অবশ্যই দেশ এগিয়ে যাবে। প্রতিবছরই প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতায় নানান রকম সরঞ্জামাদি প্রদান করা হয়। এ সকল সরঞ্জামাদি প্রদানের ফলে প্রতিবন্ধীদের কে সামান্যতম হলেও সহযোগিতা করা যায়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, জেলার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সকল প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বী করতে সাহায্য করবে। প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় জেলায় নানান সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সকল মানুষকেও তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ সুগম করতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মুস্তাফিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, সহকারী কমিশনার এস এম আব্দুর রউফ শিবলু, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।



