স্টাফ রিপোর্টার
এমন প্রতিশ্রুতি আমরা দেব না, যেটা পালন করতে পরাব না। যেমন বেহশতের টিকিট দেওয়া। এই প্রতিশ্রুতি আমরা দেব না। কারণ আমরা জানি, আমাদের এখানে যারা নেতারা আছেন, আমিসহ আমার কর্মী-সমর্থকসহ আপনারাও অনেকেই জানেন। এটা পালন করা সম্ভব নয়। আমরা ওই প্রতিশ্রুতি দেব না বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু। বুধবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে ১০ স্থানে পথসভায় তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
মাহমুদ হাসান খান বাবু আরো বলেন, আমরা কী প্রতিশ্রুতি দেব? আপনার সন্তান লেখাপড়া শেষ করলে বেকার থাকবে না। এই প্রতিশ্রুতি আমরা দেব। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দেব, এখানে শুনছি অনেক দিন ধরে হাসপাতাল হওয়ার কথা, তবে হয়নি। আপনাদের আকাঙ্কা অনুযায়ী এখানে যাতে ৫০ শয্যার হাসপাতাল করা যায় সেই উদ্যোগ আমরা নেব। এখানে রাস্তা-ঘাটের অবকাঠামো যাতে উন্নয়ন হয় সেটি নিয়ে কাজ করব। আমরা কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করব।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী আরও বলেন, যতগুলো কৃষি প্রধান জেলা আছে, তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা অন্যতম প্রধান। এখানে সাধারণ যে ফসল ধান, পাট, ভুট্টা, আখ এগুলো হয়। এর বাইরে কিছু ব্যতিক্রমী ফসল এখানে হয়। ফুলের চাষ হয়, ফলের চাষ হয়। ফলের মধ্যে পেয়ারা। এটা পুরোনা হয়ে গেছে আমাদের জন্য। এখন আমরা কমলা, মাল্টা, এখানে ড্রাগন, স্ট্রবেরি এমনকি আঙুরের চাষ হচ্ছে। এইটা একধরনের সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনার ফসল। এটা অন্য কোনো জেলায় নাই। সেটা যদি আরও উন্নত করতে হয়, তাহলে আমরা যেটা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চুয়াডাঙ্গায় হবে। এই যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিচ্ছি এগুলো হবে, পূরণ করার চেষ্টা করা হবে, উদ্যেগ নেওয়া হবে। এসময় বিএনপির ৩১ দফার কথার উল্লেখ করে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যা যা প্রয়োজন সব বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে আছে। ভবিষ্যতে যদি এমন কোনো বিষয় মানুষের প্রয়োজন হয় যেটি এই ৩১ দফার মধ্যে নেই যেটি যোগ করা হবে। বিএনপি জনগণের কথা ভাবে। জনগণের কথা ভাবে বলেই আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হয়েও কখনো আপন করেননি।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন- দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন, সহসভাপতি আব্দার আলী, দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আসলাম উদ্দীন, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আশাবুল হক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক, বিএনপি নেতা বিএনপির সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান প্রমুখ।



