স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গা (রুসাক) কর্তৃক আয়োজিত ‘নবীন-প্রবীণ সংবর্ধনা ও বাংসরিক মিলনমেলা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজশাহী ইউনিভার্সিটি চারুকলা মুক্ত মঞ্চে ‘এসো মিলি নাড়ীর টানে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: শরীফুজ্জামান শরীফ। রুসাক এর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইমন এর সভাপতিত্বে মিলনমেলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চুয়াডাঙ্গা জেলার নবীন ও প্রবীণ ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেন। প্রবীণ ছাত্রনেতারা ও জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে তরুণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।
প্রধান অতিথি মো: শরীফুজ্জামান শরীফ ছাত্রদের উদ্দেশে কেবল রাজনৈতিক বার্তা নয়, বরং সমাজসেবা ও উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান। ‘তোমাদের উদ্যোগে তোমরা অনেক কিছু করতে পারো। রুসাকের অধীনে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করতে পারো, আমি সব ব্যবস্থা করে দেব। আমি চাই তোমরা রুসাক-কে চুয়াডাঙ্গায় প্রচার করো। চুয়াডাঙ্গার মানুষ যারা বাংলাদেশসহ বিদেশের বাইরে অবস্থান করছে, এই ‘রুসাক’ শব্দটা যেন তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছায়। তাহলে তারাও তোমাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে।’ ‘তোমরা জানো, চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে কম করে হলেও ১০-১২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে বের হয়েছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকেই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। যারা ঐ বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করেছে, তারা নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য তৈরি করেছে। সেই শিক্ষার্থীরা কোনো সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারে না, বেসরকারি চাকরিতে তাদের সার্টিফিকেট দেখাতে পারে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষা নিয়ে যারা ব্যবসা ও রাজনীতি করে, তাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘৃণা করি।’
শরীফ আরও বলেন, ‘আমি চাই, যেন চুয়াডাঙ্গাকে আমরা একটি মডেল জেলা হিসেবে দাঁড় করাতে পারি। তোমরা নিজেরা উদ্যোগ নাও, তোমাদের কাজ তোমাদেরকেই করতে হবে। আমরা সহযোগিতা করব, তোমাদের পাশে আমরা থাকব। চুয়াডাঙ্গার বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসার জন্য রাজশাহী অথবা কুষ্টিয়ায় যায়। আমাদের সু-চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গায় কোনো হাসপাতাল নেই, আমাদের চুয়াডাঙ্গায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। আমি চাই আমরা সম্মিলিতভাবে চুয়াডাঙ্গাকে একটি মডেল জেলা হিসেবে তৈরি করতে পারি এবং এতে আমাদের সবার অংশগ্রহণ বাঞ্ছনীয়। এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা আছেন, তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হও এবং যেখানেই চুয়াডাঙ্গার নাম শুনবে সেখানেই ছুটে যাবে এবং রুসাকের সদস্য হতে বলবে। এটা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, সেহেতু যেকোনো ধরণের মানুষ এখানে সংগঠিত হতে পারে। আমি এখানে তোমাদের বিএনপি করতে বলতে আসিনি, আমি এখানে এসেছি উদ্যোক্তা হিসেবে তোমাদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ শিক্ষক জাস্টিলছুল হায়দার, মূর্ত শিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল ছালাম, শারীরিক শিক্ষক আল আজিম, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, সাবেক শিক্ষার্থী ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মুকুট, সাবেক শিক্ষার্থী ও চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এর আহ্বায়ক অ্যাড. আ স ম আব্দুর রউফ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মালিতা মোমিন, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইমরুল হাসান মুকুল, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন হাবলু, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ হোসেন, সহ-সভাপতি শুভ জামান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, জেলা ছাত্রদলের অর্থ সম্পাদক খন্দকার রিজন আহমেদ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এম. এম হাসান, পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারু আহমেদ, রুসাক সাধারণ সম্পাদক শারমিন শোভা, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, রুসাক এর সাবেক সভাপতি সুমন হোসেন, রুসাক এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর, রুসাক এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল আলম সহ চুয়াডাঙ্গা জেলার অধ্যয়নরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন ও প্রবীণ ছাত্র-ছাত্রীরা।



