জামজামি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় মনোনিত প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, আমি আপনাদের সতর্ক করতে চাই কোনো ধরনের বিভেদ যেন আমাদের মধ্যে না থাকে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। এই ধানের শীষের জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন, তাদের প্রতি সহিদোচিত উদারতা প্রদর্শন করে সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আপনাদের ভোটের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষের বিজয় হবে। আপনারা শুধু ভোট দিন আমি আপনাদের সেবা করব। আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় এসব কথা বলেন শরীফুজ্জামান শরীফ। তার নির্বাচনী প্রচারণায় এখন গ্রামীণ জনপদে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের বাজার থেকে তিনি ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন। প্রার্থীর এই আগমনকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্টি হয় তীব্র উদ্দীপনা।

                জামজামি ইউনিয়নের মধুপুর বাজার থেকে শুরু করে তিনি ইউনিয়নটির ঘোষবিলা, জামজামি, ভদুয়া গ্রামসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক পথসভা ও প্রচারণা চালান। মো: শরীফুজ্জামান শরীফের পদচারণা যেখানে পড়েছে, সেখানেই শত শত মানুষ প্রিয় নেতাকে দেখতে ও তাঁর বক্তব্য শুনতে ভিড় করছে। সাধারণ মানুষজন, কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণি আবেগে আপ্লুত হয়ে নিজেদের নিত্যদিনের কষ্টের কথা ব্যক্ত করছেন।

শরীফুজ্জামান শরীফ সাধারণ মানুষ এবং নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমানের বার্তা, ঐক্য এবং ৩১ দফার গুরুত্ব তুলে ধরে আরও বলেন,‘আমার জামজামি ইউনিয়নের ভাই ও বোনেরা, এই মধুপুুর, ঘোষবিলা, জামজামি এবং ভদুয়া গ্রামের মানুষের ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে—শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতি আপনাদের আস্থা এখনো অটুট আছে। আমি আপনাদের বলতে এসেছি, আপনারা আর ভয় পাবেন না। এই নির্বাচন শুধু প্রতীক বদলের নির্বাচন নয়, এটা আপনাদের জীবনের মানোন্নয়নের নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা দিয়েছেন। এই রূপরেখা আপনাদের অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক মুক্তির দলিল। আমি আপনাদের কাছে সেই ৩১ দফার গ্যারান্টি নিয়ে এসেছি। ৩১ দফায় আমরা ওয়াদা করেছি—গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে, কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে, আর দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিগত ১৭বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য। সেই আন্দোলনের প্রতিফলন হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকার নির্বাচনের মাস ঘোষণা করেছে। সেই নির্বাচনের লক্ষে আমরা প্রত্যেকটি গ্রামে গ্রামে ধানের শীষের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন আমি পেয়েছি। দল আমাকে বেছে নিয়েছে। সেই সূত্র ধরে আমি প্রত্যেকটি গ্রাম মহল্লায় যাচ্ছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনাদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, প্রত্যেকটি দপ্তরে দূর্নীতি মুক্ত করার জন্য এবং তারেক রহমানের ৩১ দফাকে বাস্তবায়ন করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনবো’।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি লুতফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পলাশ আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মিল্টন আলী, সাংগঠনিক আজলুর আলী, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা ওলামা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল মামুন হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হাসান টুটুল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন, যুবদল নেতা আমানউল্লাহ বাবুল, জেলা সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মেহেদী, যুবদল নেতা সালাম শাহ, শামীম আহমেদ, রানা, ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ফারুক হোসেন, ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তুহিন সহ বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *