স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু ইন্তেকাল করেছেন। আজ রবিবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডির একটি বাসভবনে ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গার রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা শেষে আজকে তার কিছু মেডিকেল টেস্ট করার কথা ছিল। গতরাতে ঢাকার ধানমন্ডিতে ছোট ভাইয়ের বাসায় একাই অবস্থান করেছিলেন তিনি। রাত দেড়টার দিকেও তার স্ত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনযোগে কথা হয় তার। তার পরিবারের সদস্যরা আজ সকাল থেকেই একাধিকবার তাকে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে আজ দুপুর ১২ টার দিকে তার ছোট ভাই রাতুল ও পরিবারের সদস্যরা ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু চুয়াডাঙ্গার কোর্টপাড়া নিবাসী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। তার তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী, মেজো ছেলে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং ছোট ছেলের বয়স মাত্র ৬ বছর। তার এই অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। চুয়াডাঙ্গা জেলা জুড়ে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা গভীরভাবে শোক জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর বলেন, আজ দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আমরা তার মৃত্যুর খবরটি জানতে পারি। আজকের মধ্যেই তার লাশ চুয়াডাঙ্গায় আসবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সন্ধ্যার দিকেই তার লাশবাহী গাড়িটি ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ, জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সিজার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা প্রমুখ।