গাংনীতে নানা সমস্যায় ধুঁকছে মটমুড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, মেহেরপুর

নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ইচ্ছামতো অফিসে আসা-যাওয়া করেন দ্বায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ ইউনিয়নের সাধারণ রোগীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগী ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষা করতে হয় চিকিৎসকদের জন্য। মেডিকেল অফিসার না থাকায় সামান্য ঠান্ডা-কাশির মতো সমস্যাতেও অধিকাংশ রোগীকে যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রবেশ পথেই হাসপাতাল চত্বরে চপ-সিঙ্গাড়ার ও পিয়াজুর দোকান। আশেপাশের জায়গা গুলোতে ময়লা ও ঝোপঝাড়ে ভরপুর। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কামরুন্নাহার শনি, রবি ও সোমবার সেখানে যাননি। তিনি দ্বায়িত্ব পালন করছেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ফার্মাসিস্ট সেকেন্দার আলী অফিসের নির্ধারিত সময়ের আগেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র তালাবদ্ধ করে চলে গেছেন। এলাকার মানুষ বলছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবা ‘‘কাজীর গরু কেতাবে আছে; গোয়াল ফাঁকা।”

স্থানীয় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বরেন, আমাদের ইউনিয়নের এটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র না ব্যবসা কেন্দ্র বাইরে থেকে কিছু বোঝার উপায় নেই। এলাকার অনেক মানুষ এখানে আসে স্বাস্থ্য সেবা নিতে কিন্তু মেডিকেল অফিসারতো দুরের কথা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারও নিয়মিত আসেনা। ছোটখাটো যে সমস্যায় হোক ১৬ কিলোমিটার দুরের হাসপাতালে যেতে হয়। মাঝে মাঝে অফিসে আসে ১০টায় আবার ১ টায় চলে যায়। আবার কখনো তাকে অফিসে দেখা যায় না। ফার্মাসিস্ট সেকেন্দারতো চিকিৎসা দিতে পারে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ- আল- আজিজ বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরেই ফর্মাসিস্টকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কামরুন্নাহার ঐদিন হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকট থাকায় সাব- সেন্টার থেকেও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে আমি কয়েকদিনের মধ্যে অফিস স্টাফদের নিয়ে বসে এ বিষয়ে সমাধান করবো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *