স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অভিভাবক সমাবেশ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা খন্দকার নুসরাত জাহান করবী। এসময় চুয়াডাঙ্গায় জুলাইয়ে কিছু তথ্য চিত্র ভিডিও এবং খুলনা বিভাগ ও সমগ্র বাংলাদেশের জুলাইয়ে বর্বরচিত ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। এরপর উন্মুক্ত আলোচনায় জুলাই যোদ্ধাদের অভিভাবকেরা স্বৈরাচার মুক্ত দেশ গঠনে তাদের সন্তানদের অবদান ও দুঃসাহসিক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের মায়েদের অবদান তুলে ধরার মতো। সন্তানদের সাহস দিয়েছেন মায়েরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। জুলাই যোদ্ধা সন্তানদের মায়েদের অবদানের যে ভুমিকা তা কখনো কেউ ভুলবে না। সারা বাংলাদেশে যে জুলাইয়ে স্রোত হয়েছিল তার জন্য ৫ আগস্ট হয়েছিল। আর এই জুলাই আগষ্টের যোদ্ধাদের মায়েরা তাদের সন্তানদের দেশ গড়ার জন্য সাহস দিয়েছিল। নিশ্চিত বিপদের আশঙ্কা জেনেও যে সকল মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে জুলাই আন্দোলনে এগিয়ে দিয়েছিল সেই সকল মায়েদের আকাঙ্খা ভুলে গেলে হবে না। জুলাই যোদ্ধা সন্তানদের বাবা মায়ের প্রত্যাশা পুরণে সরকার কাজ করছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, জুলাই আন্দোলনে আন্দোলনকারীর পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের ভূমিকা ও ছিল অপরিসীম। সকল জুলাই যোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং সুন্দর, সমৃদ্ধশালী, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে বাংলাদেশ পুলিশ চুয়াডাঙ্গার পক্ষ থেকে আমি সদা জাগ্রত ও সচেষ্ট থাকব। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহত যোদ্ধাদের অভিভাবকবৃন্দ, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধ সাংবাদিক শাহ আলম সনি, ছাত্র প্রতিনিধি আসলাম হোসেন অর্ক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ মাহাবুব উল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার দিল আরা চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিস মোমতাজ, সহকারী কমিশনার আশফাকুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক মানিক আকবর, জুলাই যোদ্ধাদের অভিভাবক বৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।