জীবননগরের আন্দুলবাড়িয় মোটর সাইকেলের ধাক্কায় মুত্যু হয়েছে

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি
জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ার পোকামারী পাড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সুরুজ আলী নামে এক দিমজুরের মর্মান্তিক মুত্যু ঘটেছে। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে পোকামারী পাড়ায় গ্রামীন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মুত্যু ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীগন এ র্দুঘটার জন্য বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক ইয়াসিন আলীকে দায়ী করেছে। রাতে নিহতর লাশ বাড়িতে রেখেই চলছিল আপোষ মিমাংসার দেন দরবার। পুলিশ বলছে এখনো ঘটনা সর্ম্পকে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। ঘটনাটি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে
গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়ার পোকামারীপাড়ার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে সুরুজ আলী ব্যাপারী (৬৫) গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া হাট থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পোকামারীপাড়ার মসলেম উদ্দিনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে একই পাড়ার আক্কাছ আলীর ছেলে ইয়াসিন আলী (২২) বেপরোয়া গতির মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এ ধাক্কায় পথচারী সুরুজ আলী মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্তভাবে আহত হয়। আহতকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথিমধ্যে দর্শনা রেলগেটে পৌঁছালে তিনি মুত্যু বরণ করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীগন সুত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ইয়াসিন আলী এ দুর্ঘটনার পর দাপট দেখিয়ে বলেন, মোটরসাইকেল কিনেছি কি আস্তে চালনোর জন্য? এ দাম্ভোক্তি দেখিয়ে নিহতর লাশ বাড়িতে রেখেই চালকের স্বজনরা নিহতর পরিবারের সাথে করছিল আপোষ মিমাংসার দেন দরবার।
সুত্র জানান, পোকামারীপাড়ার মনির হোসেন নামে পাড়ার এক মাতুব্বরের মাধ্যমে চলছিল উভায় পক্ষের মধ্যে দরকষাকষি। নিহত সুরুজ আলী ব্যাপারীর ছেলে হানিফ এ প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখানো আমরা কোন অভিযোগ করেনি। আত্মীয় স্বজনরা এলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। পোকামারী পাড়ার মাতুব্বর মনির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, এখনো এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *