মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শুকুরকান্দি নামক স্থানে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে গাংনী হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী আক্তার বানু, গাংনী উপজেলার গাড়াডোব খাল পাড়ার কিবরিয়ার ছেলে শাহীন ও মাইক্রোচালক পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে জামাল উদ্দীন (৫২)। আহতদের মধ্যে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব খালপাড়ার মৃত ফজল মালিথার ছেলে আলতাফ হোসেন (৪৮) ও তার স্ত্রী উলফা খাতুন (৩৫), গোলাপী খাতুন (৩৫) ও ফজিলা খাতুনকে (৬৫) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নিহত আক্তার বানু রাত ১০ টার দিকে তার মা ফজিলা খাতুনের চিকিৎসার জন্য মাইক্রোবাসে কুষ্টিয়া যচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে দশটার দিকে শুকুরকান্দি নামকস্থানে পৌছুলে মাইক্রোবাস চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কুষ্টিয়াগামী ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাস দুমড়ে মুষড়ে চালকসহ সকলেই আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছুলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্তার বানুকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় আহত শাহীনের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলে সেখানে নেওয়ার পথে রাত ১ টার দিকে সে মারা যায়। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ভোর ৫ টায় মাইক্রোবাস চালক জামাল উদ্দীন মারা যায়।
তিন জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, মরদেহগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেলে রয়েছে। মাইক্রোবাস থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে গাংনী উপজেলার পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়।