কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিন্দিয়া গ্রামে এক কিশোরকে বলৎকারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক হাফেজের বিরুদ্ধে। সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের হরিন্দিয়া গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কিশোর সাকিব হোসেন (১৫) রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সাফদারপুর ইউনিয়নের লোকমান হোসেনের ছেলে। তার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় হাফেজ সবুজ হোসেন (২২) তাকে সমকামিতার কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন সাকিব মাঠে ফসল দেখতে গেলে অভিযুক্ত সবুজ তাকে একাকী পেয়ে জোরপূর্বক প্যান্ট খুলে বলৎকারের চেষ্টা করে। সাকিবের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে সবুজ পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর উলঙ্গ অবস্থায় সবুজকে দেখতে পেয়ে সাকিবের পরিবারের সদস্যরা প্রতিক্রিয়া জানালে সবুজের আত্মীয়স্বজন তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিবেশী সজিব এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত হাফেজ সবুজ পূর্বেও একই ধরনের ঘটনায় জড়িত ছিল। একাধিক ঘটনা স্থানীয়ভাবে গোপনে মীমাংসা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। এমন একটি ঘটনায় বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সালিসে মধ্যস্থতা করেন এবং অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়েছিল।
অভিযুক্ত হাফেজ সবুজের বাবা ডাক্তার শুকুর আলী বলেন, “ছেলের বর্তমান অবস্থান আমি জানি না। শুনেছি তাকে ল্যাংটা করে মারধর করা হয়েছে। তবে সে আসলেই বলৎকারের চেষ্টা করেছে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।” তিনি জানান, ছেলেকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েছিলেন, তবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আশ্বাসে অভিযোগ না দিয়ে ফিরে আসেন।
ভুক্তভোগী সাকিব হোসেন বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই সবুজ আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমি রাজি না হওয়ায় সে জোরপূর্বক বলৎকারের চেষ্টা করে। আমি থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম, তবে এলাকার লোকজন শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দিলে ফিরে আসি।”
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, “ঘটনার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে থানায় অভিযোগ করেনি। তবে যেহেতু বিষয়টি গুরুতর, আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।