সিঙ্গাপুরের সফল ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক সিআইপি নির্বাচিত

স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি-এনআরবি) হিসেবে মনোনীত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক। তাঁর এই অর্জন বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি নিজ জন্মভূমি চুয়াডাঙ্গার জন্যও বয়ে এনেছে এক নতুন সম্মান।
আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ২০২৬-২৭ সালের জন্য এই সিআইপি সম্মাননা লাভ করেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০২৬ সালের জন্য ক) ‘বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ০১ (এক) জন, খ) ‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ৭৫ (পঁচাত্তর) জন এবং গ) ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ১০ (দশ) জনসহ সর্বমোট ৮৬ (ছিয়াশি) জন প্রবাসীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (অনিবাসী বাংলাদেশি) বা সিআইপি (এনআরবি) হিসেবে নির্বাচন করেছে সরকার। আগামী ১৭ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকার ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তজার্তিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সিআইপি সম্মাননা পুরষ্কার ও কার্ড তুলে দেবেন।
এই স্বীকৃতি কেবল আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিকের বাণিজ্যিক সাফল্যকেই তুলে ধরে না, বরং দেশের অর্থনীতিতে তাঁর গভীর আস্থা এবং প্রতিশ্রুতিকে প্রমাণ করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বিশ্বের অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) সবথেকে বড় সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও প্রবাসে বাংলাদেশি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও সংযোগ স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে তিনি স্বনামধন্য হোটেল সাহিদ প্যালেস এবং সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক, আরিফুজ্জামান আরিফ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের পিতা মরহুম শামসুজ্জোহা বিশ্বাস একটি সুন্দর দ্বীনি-শিক্ষার ভাবনা নিয়ে ২০০১ সালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর গ্রামে হাজী শামসুজ্জোহা জামি’আ আরাবিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১০ সালে পিতার মৃত্যুর পর আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক মাদ্রাসাটির পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পিতার সুস্বপ্নকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তিনি আন্তরিকতা, মেধা ও শ্রম দিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এই মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্য দানবীর হিসেবে খ্যাত আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন। তিনি চুয়াডাঙ্গায় তিন তারকা মানের হোটেল সাহিদ প্যালেস অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করেন এবং সেখান থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ মাদ্রাসার কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মাদ্রাসাটিতে ছাত্রদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিং-এর ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে তিন বেলা মাদ্রাসার সকল ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। মাদ্রাসাটি দিন দিন আরও অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ও খুলনা বিভাগে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জনসহ এটি প্রতি বছরই মেধাবী শিক্ষার্থী উপহার দিচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতায়ও মাদ্রাসাটির সাফল্য লক্ষণীয়। ইসলামি জ্ঞানচর্চার পরিবেশ সুন্দর ও উন্নত করতে তিনি একটি দারুণ ইন্টিরিয়র ও মনোরম পরিবেশে পাঠাগার স্থাপন করেছেন। আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিকের এই সিআইপি অর্জন এবং মানবকল্যাণমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *