স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা দিন দিন আরও বাড়ছে। শীত মৌসুমের শুরুতেই জেলায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে ঠান্ডা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিনে ভোর ৬টার সময় তাপমাত্রা ছিল সমপরিমাণ, তবে তখন বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা ছিল আরও বেশি—৯৭ শতাংশ। সকাল ৯টার দিকে আর্দ্রতা কমে দাঁড়ায় ৮৭ শতাংশে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই রাত ও ভোরের তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে নিচের দিকে নামছে। তিনি বলেন, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলেও দেশের সর্বনিম্ন নয়। সামনে আরও কয়েকদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জেলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় পড়ছে চোখে পড়া প্রভাব। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা থাকে, কর্মজীবী মানুষের চলাচল কমে এসেছে। শীতের দাপট কিছুটা কমলেও সকাল ৯টার পর রোদ উঠলে তাপমাত্রা খানিকটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে শীতে দুর্ভোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে দিনমজুর, শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষেরা শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন। ঠান্ডা মোকাবিলায় উষ্ণ পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, বাজারেও বেড়েছে শীতবস্ত্রের ক্রেতার সংখ্যা।
তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে গেলে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে শীতের প্রভাব আরও গভীর হবে। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শীতজনিত রোগবালাই বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা নেমে ১৩.৭ ডিগ্রি, বাড়ছে জনদুর্ভোগ



