চুয়াডাঙ্গায় কৃষি প্রযুক্তি মেলায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার

কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরন প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা মুক্তমঞ্চ চত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এ পুষ্টিমেলা মেলার উদ্বোধন করা হয়। ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। শুরুতেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন মেলার ১২টি স্টল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রদর্শিত ফল ও সবজীর উপকারিতা সম্পর্কে নানান তথ্য দেন। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক এর ভয়াবহ দিক সম্পর্কেও সকলকে ধারনা দেন।

পরিদর্শন শেষে মুক্তমঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার। আলমডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার উদয় রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষ্ণ পদ রায়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, আমরা দিনে যত খাবার খাই তার অধিকাংশ খাবারই বাসার খাবার। বাসার খাবার গুলো কিভাবে রান্না করলে পুষ্টি গুনটা সঠিক থাকবে সেটা অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয় না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মিলে চাল ছাটাই করে সাদা করা হয়। চালের সব থেকে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে চালের আবরণে। এই ছাটাই এর ফলেই পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়। আর বাজারে এই সাদা চালের চাহিদা সব থেকে বেশি। এই চাল থেকে রান্না ভাতের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুষ্টিগুণ বেরিয়ে যায়। এই পুষ্টিগুন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্টে ভূমিকা পালন করছে পলিথিন। এই পলিথিন ব্যবহারে খাবারের গুণাগুণ নষ্ট হয়। খাদ্যের পুষ্টিগুণ সঠিক রাখতে পলিথিনের ব্যবহার কমাতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোন খাবারের ঘাটতি না থাকলেও পুষ্টিগুণের ঘাটতি রয়েছে। চাষকাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে তাহলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ নিশ্চিত হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার সিভিল সার্জন হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. সাহাবুদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক প্রমুখ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুর রহমান, স্থানীয় কৃষক ও বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারের প্রতিনিধিবৃন্দ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *