মেহেরপুর অফিস
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেছেন, জাতীর বুকে এক দানব ঝেকে বসেছিলো। যাকে কোনভাবেই অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিলো না। পুরো দেশ গিলে খেয়ে ফেলেছিলো। গেল ৫৪ বছরে আমাদের এই প্রিয় ভূখন্ডে এমন এক সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিলো যেখানে আমি, তুমি গরীব ছাষা ভুসা, সাধারণ মানুষের ছেলে মেয়েরা চাকুরি বাকরি করবে, ব্যবসা বানিজ্য করবে, জীবন এভাবেই চলে যাবে। আর কিছু লোক জন্মসূত্রে রাজা বা রানী হয়ে থাকবে। তাদের সন্তানরাও থাকবে রাজ-রানি হয়ে। আর আমরা তাদের তাবেদারি করবো। আমরা কোন শীর্ষ জায়গায় যেতে পারবো না।
বৃহস্পতিবার মেহেরপুর সরকারী কলেজে নবীণ বরুণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালের অভুত্থানে আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে আমি, তুমি এবং অন্য যে কেউ এই রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে যেতে পারবে। এই দানবের বিরুদ্ধে একদল তরুণ তুর্কি জেগে উঠেছিলো। যাদের পিছনে ছিলো আমাদের মতো বয়স্করা। ১৯৭১ সালে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা জীবন দিয়ে এই দেশকে রক্ষা করেছিলো। কিন্তু আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে পাারিনি। আমাদের নতুন করে আর একটি লড়াই করতে হলো ২০২৪ সালে। সেই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন করে আরো একবার স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতা এজকের তরুণদের হাত ধরে। এই স্বাধীনতাকে নিরাপদ রাখতে হবে তোমাদেরকেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ. কে.এম নজরুল কবীর। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আতিকুল হক, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খেজমত আলি মালিথা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে আয়োজন হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।



