দামুড়হুদা অফিস
পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ৪ টি অবৈধ ইটের ভাটা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মমতাজ বেগম-এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধনী-২০১৯) লঙ্ঘনের অভিযোগে ১২০ ফুট ফিক্সড চিমনি ব্যবহারকারী চারটি ভাটার চিমনি স্কেভেটর দিয়ে ধ্বংস করা হয়। ট্রাক্টর দিয়ে গুড়িয়ে ফেলা হয় কাঁচা ইট। অভিযান পরিচালনা কালীন সময়ে উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানায়। দামুড়হুদা উপজেলায় ২৬-২৭ টি ইট ভাটা রয়েছে। যেখানে প্রতিটি ইট ভাটা অবৈধ পন্থায় প্রধান আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি এবং কৃষি জমিকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছেন।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, পরিদর্শক নাইম হোসেন, র্যাব-১২ এর কমান্ডার আব্দুল ওয়াহিদ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিমের নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের রাইসা ব্রিকস, নাটদহ ইউনিয়নের খলিসাগাড়ি মমিন নগর বর্ষা ব্রিকস ও উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিৎলার হিরো ব্রিকস এবং দেশ ব্রিকস এ অভিযান চালানো হয়। এসময় উল্লেখিত ইটভাট গুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সহ বৈধ কোন কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় ইটভাটার চিমনি ও ইট ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও সঠিক কাগজপত্র না থাকায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ৪টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাকী অবৈধ ইটভাটাগুলোতেও অভিযান চলবে।



