স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষ্যে সভাপতি পদে চার প্রার্থীর নির্বাচনী ভাবনা কি? এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রার্থীরা পৃথকভাবে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সারোয়ার বাবু, বারের বর্তমান সভাপতি অ্যাড. সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের প্রার্থী আলহাজ¦ মোসলেম উদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেন।
বিএনপি সমর্থিত বাাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী অ্যাড. মারুফ সরোয়ার বাবু চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার মৃত আক্কাস আলী তরফদারের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ^াবিদ্যালয় থেকে এলএলবি-অনার্স পাশ করে ১৯৮৭ সালের ২৬ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা বারে প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি নির্বাচিত হলে, দলমত নির্বিশেষে সকল আইনজীবীদের স্বার্থ-সংরক্ষণের কাজ করবেন। লাইব্রেরীকে আধুনিকায়ন করা হবে। আইনজীবীদের জন্য কমনরুমের ব্যবস্থা এবং নারী আইনজীবীদের জন্য পৃথক কমনরুমের ব্যবস্থা করা হবে। বেনোভলেন্ট ফান্ডের স্লাব ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে। বার কাউন্সিল ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান নিয়ে আমার পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন দ্রুত নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিদ্রোহী প্রার্থী কোর্টপাড়ার বাসিন্দা অ্যাড. সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কুষ্টিয়া আইন মহাবিদ্যালয় হতে ল’ পাশ করেন। ১৯৯৪ সালের ১৬ আগষ্ট হতে চুয়াডাঙ্গা বারে প্র্যকটিস শুরু করেন। বিগত ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বারের সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি ২০২৫ সালেও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আবারও সভাপতি হলে, আইনজীবীদের প্রতি সহমর্মিতা বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন। বিগত সরকার পতনের পর কোর্টে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছিলো। আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এজন্য সকলেই আইন পেশায় কাজ করতে পারছেন। সবাই যেন আত্বীয়-বন্ধু সদ্ভাব বজায় থাকে এটাই আমার লক্ষ্য। তিনি সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বেনোভলেন্ট ফান্ডের স্লাব উন্নীত করেন। এই স্লাব কিছুটা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে। আইনজীবীদের জন্য একটি ডাইরেক্টরি তৈরী করা হবে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে এবং আগামীতে চেষ্টা করবো ভবন নির্মাণে।
চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার বাসিন্দা অ্যাড. মোসলেম উদ্দীন ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই হতে চুয়াডাঙ্গা বারে প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি নির্বাচিত হলে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। চেষ্টা করবো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বনের জন্য। সবজায়গা পরিষ্কার করবো। হিংসা-বিদ্বেস ইমান হারানোর ফাঁদ। আমি চেষ্টা করবো পরিবেশ সুন্দর রেখে দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরীতে পারষ্পারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করবো। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন নীতি অবলম্বন করবো। সম্মানিত সকলের সম্মান বজায় রাখার জন্য সর্বদা যত্নশীল থাকবো।
অ্যাড. আকরাম হোসেন আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দি গ্রামের মৃত আশকার আলী সরদারে ছেলে। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার সিনেমা হলপাড়ার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা বিশ^াবিদ্যালয় থেকে এক কম পাশ করেন এবং রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় অধীভুক্ত কুষ্টিয়া আইন মহাবিদ্যালয় থেকে ল’পাশ করেন। ১৯৮৫ সালে ৬ অক্টোরর হতে চুয়াডাঙ্গা বারে প্র্যাকিটিস শুরু করেন। তিনি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ ও বারের যাবতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন আগামী ২৯ নভেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। ২০৪ জন আইনজীবী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


