দামুড়হুদায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মা-মেয়ে গুরুতর আহত; ঢাকায় রেফার্ড

দামুড়হুদা অফিস

দামুড়হুদায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মা-মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। আহত দু’জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট ঢাকায় রেফার্ড করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের গুলশান পাড়ায় নিজ বাড়ির ছাদে কাপড় মেলতে দেওয়ার সময় মা গৃহকর্মী ছালেহা খাতুন (৫৭) ও মেয়ে দামুড়হুদা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক উম্মে তাসমিমা কুলছুম টনি (৩৫) বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। আহত দুজনের মধ্যে ছালেহা খাতুন ইটভাটা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও কন্যা প্রভাষক উম্মে তাসমিমা কুলছুম টনি।

প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯ টার সময় নিজ বাসা বাড়ির চতুর্থ তালার ছাদে কাপড় মেলে দেওয়ার জন্য জিআই তার দিয়ে আড়া তৈরির কাজ করছিলেন। এসময় তাদের উভয়ের হাত ফসকে পড়ে গেলে বাসার ছাদের উপর দিয়ে যাওয়া ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইনের মেইন তারের উপর গিয়ে পড়লে তাদের হাতে থাকা তারের সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে উভয়ের শরীরে আগুন ধরে যায়। এতে উভয়ের শরীরের অনেকাংশ পুড়ে গিয়ে গুরতর আহত হন। এসময় আহতদের ডাকচিৎকারে বাসা বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়ারা ফায়ার সার্ভিসকে খরব দিলে দ্রত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতালে নেন। এসময় গুরুতর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রের্ফাড করেন।

এঘটনায় আনোয়ার হোসেনের ভাই দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, আমার ভাবী এবং মেয়ে বাসার ছাদে কাপড় মেলে দেওয়ার জন্য তার দিয়ে আড়া তৈরি করার সময় হাত ফসকে তার পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইনে ঠেকলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হলে শরীরে আগুন ধরে গিয়ে গুরতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের সহয়তয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এসময় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া পরামর্শ দিলে উভয়ের ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। উভয়ের অবস্থা আশঙ্কা জনক।

দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম বলেন, জিআই তার দিয়ে কাপড় মেলে দেওয়ার আড়া তৈরি করার সময় হাত ফসকে বাসার ছাদের পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইনের মেইন তারের উপর গিয়ে পড়লে বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে মা এবং মেয়ে দুজন গুরতর আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *