খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গরীব মানুষের ডাক্তার অমল কুমার বিশ্বাস ইতোমধ্যে সেই পরিচিতি পেয়েছেন। বাবা স্বর্গীয় কার্ত্তিক চন্দ্র বিশ্বাসের হাত ধরে অমল কুমার বিশ্বাস ৭৯ সালে উসমানপুর গ্রাম থেকে আলমডাঙ্গায় আসেন। আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে তিনি চিকিৎসা শাস্ত্র তৎকালীন পিসি কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি হোমিওপ্যাথিতে ডিএইসএমএস পাশ করেন। বাবা কার্ত্তিক চন্দ্র বিশ্বাসের এলাকায় চিকিৎসা খ্যাতির ওপর ভর করে অমল কুমার বিশ্বাস চিকিৎসা সেবায় মনোনিবেশ করেন।
তিনি আলমডাঙ্গায় সবচে বড় এবং দীর্ঘমেয়াদি দাতব্য চিকিৎসালয় গড়ে তোলেন। তৎকালীন পুরাতন বাজারে তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দাতব্য চিকিৎসালয়ে সেবা দিয়ে গেছেন। বিশ্বব্যাপী করোনায় বিপর্যস্ত সময়ে দাতব্য চিকিৎসালয় বন্ধ হয়ে যায়। এখান থেকে হাজার হাজার রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
ডাক্তার অমল কুমার বিশ্বাস চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি আলমডাঙ্গার সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও অতি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তিনি নাটকে অভিনয়ে দক্ষতার ছাপ রাখেন। নাটকে তাঁর অভিনয় মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখতে থাকেন। তিনি অন্যের লেখা নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেও নাটক লিখে তাতে অভিনয় করে মানুষকে তাক লাগিয়ে দেন। ‘এখনও ষড়যন্ত্র’,’সোনালী স্বপ্ন’,’সাজানো বাগান’ তাঁর লেখা নাটক মঞ্চস্থ হয়। ২০১৪ সালে নাট্যকলার ওপর শিল্পকলা একাডেমি তাঁকে সার্বিক সম্মাননা প্রদান করে।
ডাক্তার অমল কুমার বিশ্বাস সংসার জীবনেও অত্যন্ত সফল একজন মানুষ। দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে অনামিকা বিশ্বাস পপি মাস্টার্স শেষ করে বিয়ের পিড়িতে বসেন। তার স্বামী পুলিশের একজন ইন্সপেক্টর। ছোট মেয়ে সুস্মিতা বিশ্বাস প্রিয়া একজন ডেন্ডিস্ট। রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে বিডিএস পাশ করে তিনি ঢাকার মিরপুর ১২ নং এ ‘টুথ পয়েন্ট ডেন্টাল কেয়ার’ নামে নিজের প্রতিষ্ঠানে চিফ কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। প্রিয়ারও বিয়ে হয়েছে একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে।
ডাক্তার অমল কুমার বিশ্বাসের জীবনে অক্টোপাসের মত লেগে থেকে সবকিছুর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর স্ত্রী নিশা রানী বিশ্বাস। রত্নগর্ভা নিশা দুই মেয়েকে আদর ভালবাসা দিয়ে তিলতিল করে এগিয়ে দিয়েছেন সফলতার চুড়ায়।



