১৭ বছর অত্যাচার-নিপীড়নের পরও জনগণের ভোটাধিকারের লড়াইয়ে আপস করিনি বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার

বিজিএমইএ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, আমাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আপনাদের কাছে দোয়া চাওয়ার জন্য, ভোট চাওয়ার জন্য এখানে এসেছি এটাই হলো মূল কথা। এখন এখানে আমরা সরাসরি যারা রাজনীতি করি, দলের নেতা-কর্মী তাদের অবস্থান এক রকম, আর যারা সমর্থন করেন চিন্তা ভাবনা করেন, একেক বার একাক মার্কায় ভোট দেন তাদের বিষয়টি একরকম।

গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সীমান্ত ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড হরিপুর-হাবিবপুর-শাখারিয়া থেকে পথসভা শুরু করেন। পরে ইউনিয়নের গয়েশপুর, গোয়ালপাড়া, বেনীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভা করেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে আমাদের মায়েদের প্রতি, বোনের প্রতি আমাদের আবেদন, আমাদের নেত্রী, একজন নারী, মায়েরা সাধারণত মহিষী হন, কিন্তু কতখানি ত্যাগ শিকার করতে পারলে, দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি, মায়েদের প্রতি ভালোবাসা থাকলে জীবন বিপন্ন হওয়ার পরও নীতির প্রশ্নে কোনো আপস করেন নাই। আমরা তার উত্তরসূরী, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মী, জনাব তারেক রহমানের সিপাহশালা, আমারাও ১৭ বছর একটি প্রশ্নে আপস করিনি, জনগণকে ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হবে ঠিক? ঠিক এ কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন করা হয়েছে। অনেক প্রলোভন দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের ইমান থেকে আমাদের সরাতে পারিনি। যদি পারত আমরা মাটি কামড়ে দলটাকে ধরে রাখতাম না। আমরা দলটা হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে, হৃদয় দিয়ে এই দলটা ভালোবাসি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিলটন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দিন বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব কামরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আল হাসান মোহাম্মদ আবু তালেব, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রিমন প্রমুখ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *