মেহেরপুর অফিস
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্তে পতাকা বৈঠকে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৪ জনকে পুশব্যাক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল শনিবার সকালে পুশব্যাক করা হয়। পুশব্যাক হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার দুই পরিবারের ১১ জনসহ মোট ১৪ জন।
বিজিবি প্রেস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাথুলী বিওপির সীমান্ত এলাকার আনুমানিক ১০০ গজ অভ্যন্তরে সীমানারেখার ১৩৩/৩ এস পিলারের অভ্যন্তরে ১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পুশব্যাক হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে।
আসাম রাজ্যের তেইমপুর ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমার তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেহেরপুরের কাথুলী বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মিজানুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করে। এদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ চারজন নারী ও চারজন শিশু রয়েছে।
পুশব্যাক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার বলিয়াডাঙ্গী থানার জেলে বস্তির গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে হানিফুর রহমান(৩৮), তার স্ত্রী লুৎফা খাতুন(২৮), মেয়ে হাবিবা খাতুন(১২) আলিয়া খাতুন(১.৫), ছেলে হাবিবুল্লাহ(০৫), একই এলাকার খাদেমগঞ্জ গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে বাবুল(৫০), তার স্ত্রীর আফরোজা খাতুন(৪৩), মেয়ে লাভলী খাতুন(২৫) শবনম খাতুন (১৯), ছেলে সাদ্দাম হোসেন(২৪), বেউরঝাকী গ্রামের আজগর আলী ছেলে তরিকুল ইসলাম(২৮), রত্নাই গ্রামের ধুনিবুলা মোহাম্মদের ছেলে আজিজুল হক(৪৫) ও লক্ষহাট গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে হাসেম হাতেম(৫২)।
পুশব্যাক হওয়া হানিফুর রহমান জানান, তিন বছর আগে জীবিকার তাগিদে দালালের মাধ্যমে নদী পার হয়ে ভারতে গিয়েছিলাম। আসাম রাজ্যের হরিয়ানাতে পাপোস তৈরির কারখানায় কাজ করতাম। গত সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে ভারতের পুলিশ আমাদেরকে আটক করে। এরপর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট আমাদেরকে হস্তান্তর করে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, আইনি প্রক্রিয়ায় সকলের দেওয়া ঠিকানা যাচাই বাছাই শেষে পুশব্যাক হওয়া ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।