স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর জুড়ে ধানের শীষের পক্ষে আবারও দেখা গেছে গণজোয়ার। গতকাল বুধবার সকালে এবং বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ, প্রচারণা ও পথসভা করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রচারণায় তার উপস্থিতিতে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। অনেকেই তাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন, মাথায় হাত রেখে দোয়া করেন যেন তিনি জেলার উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার আদায়ে অবিচল থাকতে পারেন।
সকালে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শরীফুজ্জামান শরীফ পৌর এলাকার গমপট্টি, ফার্মপাড়া ও শেখপাড়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার পর তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩নং ওয়ার্ডের সবুজপাড়া জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় শেষে আবারও প্রচারণায় নামেন। সেখান থেকে টানা প্রচারণা চালান সবুজপাড়া, ফিরোজ রোড, কেদারগঞ্জ বাজার, ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল, ১নং পানির ট্যাংকি রোড, কোর্ট মোড়, সাহিত্য পরিষদ রোড, কলেজ রোড ও টি অ্যান্ড টি মোড় এলাকায়। প্রতিটি স্থানে তিনি স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও তরুণ ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ধানের শীষের প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

প্রচারণাকালে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘ষড়যন্ত্র সবসময়ই থাকবে, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ও বিশ্বাসের শক্তিকে কোনো ষড়যন্ত্রই থামাতে পারবে না। ধানের শীষের অগ্রযাত্রা রুখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা কারও নেই। চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ধানের শীষের বিজয় হবে জনগণের বিজয়, এই জেলার উন্নয়ন ও পরিবর্তনের প্রতীক। কোনো অপচেষ্টা বা কুচিন্তা দিয়েই এ অগ্রযাত্রা থামানো সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি শুধুই রাজনৈতিক ইশতেহার নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি, ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের রূপরেখা। এই ৩১ দফার মধ্যেই প্রকাশ্য রয়েছে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার পথনকশা। বিএনপির প্রতিটি কর্মীর দায়িত্ব এই বার্তাটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।’‘ধানের শীষ মানেই জনগণের ভোটাধিকার, মুখে হাসি, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং কৃষকের ন্যায্য মূল্য। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, এই মাটির মানুষই পরিবর্তনের স্রোত তৈরি করবে। তারেক রহমান সেই নেতৃত্ব যিনি জনগণের অধিকার ফেরাতে সংগ্রাম করছেন। জনগণের ভোটে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব না পাওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব, মানুষের পাশে থাকব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।’
চুয়াডাঙ্গার মানুষ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, চুয়াডাঙ্গার মানুষ অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না। এই শহরের প্রতিটি গলি ও ঘরে ধানের শীষের ভিত্তি গড়ে উঠেছে। তরুণ প্রজন্ম আজ জেগে উঠেছে, তারা পরিবর্তন চায়, তারা ন্যায়বিচার চায়। বিএনপি সেই পরিবর্তনের বাহক। আমরা সবাই মিলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সুন্দর, শান্তি ও গণতন্ত্রভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’ তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘এই দেশ তোমাদের, ভবিষ্যতও তোমাদের হাতে। ভালো কাজের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াও এবং নিজের এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করো। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে কোনো শক্তিই আমাদের রুখতে পারবে না।’
গণসংযোগ চলাকালে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছিল উৎসাহ ও প্রত্যাশা। কেউ বলেন, ‘শরীফুজ্জামান শরীফ আমাদের সন্তান, আমাদের নেতা। তার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা এগিয়ে যাবে।’ বুধবারের এই কর্মসূচির মাধ্যমে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গা শহরজুড়ে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালালেন শরীফুজ্জামান শরীফ।
গণসংযোগ, প্রচারণা ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গায় পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, সহ-সভাপতি ইন্তাজ আলী, আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, যুগ্ম সম্পাদক আশাবুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মালিক সুজন, ইয়াসিন হাসান কাকন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম অহ্বায়ক তরিকুল আলম জোয়ার্দার বিলু, সদর উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান সুমন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আলী, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব বাপ্পি, আব্দুল কুদ্দুস, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক নাইম আহমদ, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, সদস্য সচিব মহলদার ইমরান রিন্টু, আব্দুর রশিদ, পৌর সেচ্ছাসবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা, সদস্য সচিব মাজেদুল আলম মেহেদীসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।