স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উথলী গ্রামের বড় মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা মৃত খোদাবক্স মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার মিন্টা মিয়া (৫৫) ও তার ছোট ভাই হামজা আলী (৪৫) এই ঘটনায় তাদের আরেক ভাই রাজ্জাক গুরুতর আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী বড় মসজিদ পাড়ার খুদে মন্ডলের ছেলে আনোয়ার ও হামজা আলীর সাথে একই গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে খোকার গরু বেচা-কেনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে আনোয়ার হোসেন মিন্টা ও হামজা , রাজ্জাক তিন ভাই গ্রামের ৭২ নং ব্রীজের কাছে কৃষি কাজ করছিলেন।
নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ, এ সময় খোকার ৮ থেকে ১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দা এবং হাসুয়া, দিয়ে দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একই সময়ে হামলাকারীদের আক্রমণে রাজ্জাকও আহত হন।
স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত আনোয়ার হোসেন মিন্টা ও হামজাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। অপর আহত রাজ্জাককে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক
নিহতদের স্বজন রমজান জানান, বিরোধের জেরে কয়েক মাস আগে হামলাকারীরা মিন্টা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। তখন তারা যশোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছিলেন। কিন্তু আজকের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
নিহতদের দুলাভাই ইসলামের অভিযোগ, তাদের তিন শ্যালকের ওপর হামলাকারী স্থানীয় নিজাম, বিপুল, স্বপন, জুয়েল, হিমেল, সাইফুলসহ তাদের দলবল।
তথ্যসুত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন মিন্টা ও হামজা আলী দুজনেই কৃষিকাজ করতেন। নিহত আনোয়ার হোসেন মিন্টার হৃদয় ও রোকসানা নামের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। হামজা আলীর কোন সন্তানাদি নেই।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, দুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে আসার আগেই একজন মারা গেছেন, আর একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে গরু কেনাবেচা নিয়ে পূর্বে থেকে বিরোধ চলে আসছিল। আজ মাঠের মধ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। তারা আসামিদের ধরতে কাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।