স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা শহরের আবাসিক হোটেল থেকে মামুনুর রহমান মাসুম (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করছে অতিরিক্ত নেশা করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরের সবুজপাড়ায়। তবে তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মামুনুর রহমান তিন বন্ধুর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় ঘুরতে আসেন। তারা চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেলে ওঠেন। হোটেলের ম্যানেজার সাগর জানান, প্রথম দিন থেকে তারা তিনজনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। মামুনুর হোটেলে থাকলেও তার দুই বন্ধু হোটেলে অবস্থান করত না। গতকাল শুক্রবার রাতেও মামুনুরের দুই বন্ধু চলে যান। তিনি হোটেলে একা থেকে যান।
ম্যানেজার সাগর আরও জানান, মামুনুর বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। শনিবার সকালে হোটেলের চতুর্থ তলা থেকে কান্নার শব্দ শুনে তিনি উপরে গিয়ে দেখতে পান মামুনুরের স্বজনরা সেখানে কান্নাকাটি করছেন। স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয় মামুনুরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর তারা দেখতে পান মামুনুরের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। এক পর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং মারা যান।
তখন স্বজনরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে খবর দেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, জরুরি সংবাদ পেয়ে তারা চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক তদন্তে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, তারা সিআইডি (CID) ও পিবিআইকে (PBI) খবর দিয়েছেন এবং তারা এসে তদন্ত করবে। পাশাপাশি পুলিশও বিষয়টি তদন্ত করছে। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন।