মেহেরপুর অফিস
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিলো মেহেরপুর থেকে। তাই মেহেরপুর সব সময় এক নম্বরে থাকা উচিত। জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সারা বাংলাদেশের মধ্যে মডেল করা হবে। আর এ জন্য এ জেলার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি কাজ বুঝে নিতে হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ৮তলা নতুন ভবনের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি চিকিৎসকরা কমিশন বাণিজ্যে ব্যাস্ত। এটি রোধ করতে হবে। তা নাহলে সুচিকিৎসা থেকে বািঞ্চত হবেন সাধারণ মানুষ। এখানে জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পরিকল্পনা সচিব অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি তা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। আমি এক বছর পর এসে দেখবো এই হাসপাতালটি নিজেই রোগী না সুস্থ্য।
একই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালায়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই হাসপাতালে শুণ্য পদ পূরণ করতে চাই। এজন্য তিনি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্বাবধায়কে খালি পদের তালিকা দ্রুত প্রদানের নির্দেশনা দেন। অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে পরিষ্কার পরিচ্ছনতাসহ যে কোন সমস্যা স্থানীয়ভাবে সমাধান না হলে ঢাকা থেকে গণপূর্ত ভবনের প্রধানকে এখানে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসার পদায়ন করা হয়েছে। সদ্য বিসিএস এ সুপারিশপ্রাপ্ত মেহেরপুরের ১৩ জন চিকিৎসককে এখানেই প্রদান করার নিশ্চয়তা দেন তিনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি থেকে শুরু সকল সেবা এই হাসপাতালে থাকবে। এটি হবে দেশের মডেল একটি হাসপাতাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐক্যমত্য) মনির হায়দার বলেন, গেল দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব নিজ উদ্যোগে এখানে বেশ কয়েজন চিকিৎসকের পদায়ন করেছেন। আসলে হাসপাতালের মূল কার্যক্রম উদ্বোধন করাই বড় কথা নয়, হাসপাতালটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে একটি নতুন মডেল হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরো অতিথি সম্মানিত অতিথি ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব সাইদুর রহমান, পরিকল্পনা সচিব কামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডাঃ আবু জাফর, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হকসহ অতিথিবৃন্দ। এর আগে অতিথিবৃন্দ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হসাপাতালের নতুন ভবনে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের ফলক উম্মোচন করেন।