ঝিনাইদহের চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড সড়কটি পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে

ঝিনাইদহ অফিস

দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশ দ্বার খ্যাত জেলা ঝিনাইদহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বর্তমানে পরিণত হয়েছে সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরীতে। চরম ভোগান্তীর ফলে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ ও অতঙ্কের। ক্রমাগত বাড়ছে ছোট বড় নানা ধরনের দূর্ঘটনা। সড়কের কারণে বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হচ্ছেন যানবাহনের চালকেরা।

উত্তরবঙ্গের মানুষ দক্ষিণবঙ্গে যেতে হলে এই ঝিনাইদহ জেলা পাড়ি দিতে হয় এবং যে মহাসড়ক অতিক্রম করতে হয় তাহলো ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড সড়ক হয়ে হামদহ সড়কের উপর দিয়ে। তবে সেই সড়কটিই এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। খানা খন্দেভরা রাস্তায় অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ বাধ্য হয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে।গতকাল বুধবার এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত কালে একটি রিক্সা উল্টে পড়ে রাস্তার ওপর যেখানে যাত্রি ছিলো একজন স্কুল শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবক।

এছড়াও  আরিফুজ্জামান নামের স্থানীয় এক পথচারী জানান তার অফিসিয়াল কাজে প্রতিদিন তাকে এই রাস্তা দিয়েই জাতায়াত করতে হয় যার ফলে বাধ্য হয়েই প্রতিদিন তিনি জীবনের ঝূঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি আরও জানান,বিগত ১৫ বছর ধরেই তিনি এ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

এদিকে এ সড়কের, পরিতোষ ঠাকুরের মোড়ের যে বেহাল দশা তাতে বেশি দূর্ঘটনা এখানেই ঘটছে প্রতিনিয়ত।এখানকার সোলেমান টি স্টোরের চা বিক্রেতা সোলেমান হোসেন জানান দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত এ রাস্তার বেহাল দশা তবে মাঝে কয়েকবার সংস্কার করলেও আবার তা নষ্ঠ হয়ে যায়।এই রাস্তায় প্রচুর ধুলা ময়লা যার ফলে এখানে বসে অনেকে চা খেতে চায়না।একই সাথে একজন বাড়ির মালিক শ্রী সুনিল কুমার রায় জানান মহাসড়কের পাশে তার বাড়ি এবং রাস্তার বেহাল অবস্থার ফলে তার বাসা বাড়িতে প্রচুর ধুলা প্রবেশ করে এবং যখন বড় যাববাহন চলাচল করে তখন ভাঙ্গা রাস্তায় গর্তে চাকা পড়া মাত্রই তার বাড়ি কেপে ওঠে।

ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক ছাড়াও শহরের ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তা ভেঙ্গেচুরে বেহাল দশা সেখানে দৃশ্যমান তেমন কোনো উন্নয়মূলক কর্মকান্ড দেখেনি স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে আজকের চুয়াডাঙ্গাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন আমরা ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে আরাপপুর বাস স্ট্যান্ড ও চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড সড়ক হয়ে শহীদ মিনার চত্তর এবং সেখান থেকে আল হেরা এলাকা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের একটি বড় প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি এবং তার অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাস পেয়েছি যেখানে ৪০ কোটি টাকার একটি আর্থিক বাজেট রাখা হয়েছে।বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য ইট ফেলে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *