স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক ওয়াহেদ মো: রাশেদীন আমিনকে আবারো শো-কজ করেছে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার গভার্ণিং বডি। ৮ সেপ্টেম্বর গভর্নিং বডির সভাপতি মাহমুদুল হক পল্টু ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ জান্নাত আলি স্বাক্ষরিত ওই শো-কজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) নোটিশ গতকাল মঙ্গলবার অফিস চলাকালীন সময়ে কৃষি শিক্ষক ওয়াহেদ মো: রাশেদীন আমিনের হাতে হস্তান্তর করা হয়। নোটিশে স্বাক্ষর কে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: জান্নাত আলী বলেন, কৃষি শিক্ষক ওয়াহেদ মো: রাশিদীন আমিনকে শো-কজ করা হয়েছে। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে শো-কজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অধ্যক্ষ আরো বলেন নানা অনিয়মের অভিযোগে কৃষি শিক্ষক রাশেদীন আমিনকে ইতোপূর্বে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে তার বেতন স্থগিতও হয়েছিল।
শো-কজ নোটিশ অনুযায়ী জানা গেছে, রাশেদীন আমীনের বিরুদ্ধে নৈমিত্তিক ছুটি শেষ হওয়ার পরেও ছুটি মঞ্জুর না করিয়ে দু-দফায় মোট ছয়দিন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছর (২০২৫) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার ২০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি শেষ হওয়ার পরেও ছুটি মঞ্জুর না করিয়ে গত ০৪-০৮-২০২৫ইং ও ০৬-০৮-২০২৫ইং তারিখে দু’দিন অনুপস্থিত থাকেন রাশেদীন আমিন। অধ্যক্ষের মৌখিক নিষেধ সত্বেও চাকুরি বিধি ও গভর্ণিং বডিকে তোয়াক্কা না করে তিনি পুনরায় ২৫-০৮-২০২৫ইং হতে ২৮-০৮-২০২৫ইং তারিখ পর্যন্ত ০৪ (চার) দিন অর্থাৎ মোট ০৬ (ছয়) দিন অনুপস্থিত থাকেন। যা চাকুরিবিধি পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে গত ২৮-০৮-২০২৫ইং তারিখের গভর্ণিং বডির সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাশেদীন আমিন পূর্বের মতোই প্রতিষ্ঠানে নিজ খেয়াল-খুশি মতো চলাফেরা করেন। প্রাত্যহিক সমাবেশ সহ শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রমে চরম অবহেলা করেন। এছাড়া নোটিশে উল্লেখ রয়েছে, মাদরাসার পূর্বের রেজুলেশন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, তিনি (রাশেদীন আমিন) ইতিপূর্বে সভাপতি ও অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে দাফতরিক কাজ ও উচ্চতর স্কেলের আবেদন করে ধরা পড়ে যান। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শিক্ষকদের মারধর করা, ক্লাস না নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টিতে ব্যস্ত সময় পার করেন ও নারী কেলেংকারির মতো গর্হিত অপরাধেও জড়িয়ে ছিলেন। কারণ দর্শানোর নোটিশে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।