স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের শিশু সুমাইয়া আক্তার (৭) ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আসামী মোমিনুল ইসলামকে ১০ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম গতকাল সোমবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সকালে ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী শিশু সুমাইয়া পারকৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। ওইদিন রাত নয়টার দিকে একই গ্রামের আয়ুব আলীর শিমক্ষেতের মাচার নীচ থেকে সুমাইয়ার মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার এবং লাশের পাশে পড়ে থাকা আলামতের সূত্র ধরে আসামি মোমিনুলকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নাছিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোমিনুলকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান মোমিনুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,‘ শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামীর বয়স কম হওয়ায় দেশের প্রচলিত আইনে ১০ বছর কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।’ তবে, মামলার বাদী নাছিরুল ইসলাম রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশিত রায় পাইনি। এজন্য উচ্চ আদালতে যাব।’