সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি
দফায় দফায় ভূল অপারেশনে কেড়ে নিচ্ছে তরতাজা জীবন এ যেন মৃত্যুর ঝুকি হয়ে দাড়িয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সরোজগঞ্জ বাজারে বি আর এম প্রাইভেট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অপারেশনে ইয়াসমিন নামে এক মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে ক্লিনিক বন্ধের দাবি নিয়ে ছাত্র জনতা মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে ছাত্রজনতার একটাই দাবি চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কাছে বার বার ক্লিনিকে ভুল অপারেশন করে দফায় দফায় মৃত্যু হবে এটা আমরা আরচাইনা, আমরা চাই ক্লিনিক সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হোক। পরে ছাত্রজনতা একক্রিত হয়ে ক্লিনিকে তালা লাগায় দেয়।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামের মিন্টু শেখের মেয়ে ইয়াসমিন খাতুন (১৯) একই গ্রামে আড়াই মাস আগে পারিবারিক ভাবে সোলাইমানের সাথে বিয়ে হয়। ইয়াসমিন খাতুন পেটে ব্যথা নিয়ে অসুস্থ হলে গত বৃহস্পতিবার ১৯ জুন সকালে সরোজগঞ্জ বাজারে বি আর এম প্রাইভেট এন্ড ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে ভর্তি হয়। পরে চেকআপ করার পর ধরা পড়ে এপেন্ডিসাইটিস সাইড ক্লিনিকের লোকজন পরামর্শ দেন অপারেশন করার জন্য।
এদিকে রোগির লোকজন জানান গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ডা: হাসানুজ্জামান নুপুরের মাধ্যমে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করেন, অপারেশন করার পর থেকেই রোগির অবস্থা খারাপের দিকে যায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বাইরে নিয়ে যাব, সেই সময় ক্লিনিকের লোকজন তাদের সান্তনা দিয়ে বলে রোগির অবস্থা উন্নতির দিকে বাইরে নেওয়া লাগবে না, শুরু হয় রোগির শ্বাসকষ্ট রাত ৩টার দিকে ইয়াসমিন মারা যায়। ইয়াসমিন মারা যাওয়ায় এক দল দুর্বৃত্তরা ক্লিনিকের ভেতর ঢুকে ব্যপক ভাংচুর করে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন। এদিকে এই ক্লিনিকে গত ৩০ শে অক্টোবর ২০২৪ সালে আসানান্দপুর গ্রামের এক চাঁদ মুনি নামে এক মেয়ের ভূল অপারেশন মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ওই সময় সরোজগঞ্জ বাজারের স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা ক্লিনিকটি পূর্ণরায় চালুকরার ব্যবস্থা করে।
নিহতের পিতা মিন্টু শেখ জানান, আমার মেয়ে ইয়াসমিন গত বৃহস্পতিবার পেটে ব্যথা নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ওই দিন বিকাল ৩ টার দিকে অপারেশন করা হয়, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট, আমরা বারবার বলি রোগি অন্য জায়গায় নিয়ে চিকিৎসার করার জন্য, ক্লিনিক পরিচালক হুমায়ুন কবির বলে আমরা চেষ্টা করে দেখি অবশেষে রাত৩ টার দিকে আমার মেয়ে মারা যায়। তবে আমার কোন অভিযোগ নাই, আল্লাহ তার এই পর্যন্ত হায়াত রেখেছিল তাই নিয়ে গেছে। ইয়াসমিনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরদিন শুক্রবার বাদ যোহর দাফন সম্পুর্ন করে।