প্রায় দেড় মাস পর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস

স্টাফ রিপোর্টার : 

প্রায় দেড় মাস পর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়ছে ৩৯.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসের আদ্রতা ৫১ ভাগ। তীব্র গরমে জেলা জুড়ে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ৫/৬ দিনের মধ্যে তাপমাত্রার হ্রাস পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে এক সপ্তাহ পর চুয়াডাঙ্গার আকাশ জুড়ে  বৃষ্টি নামতে পাড়ে।

গত দুই দিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার উপর দিয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার তা মাঝারি তাপপ্রবাহে রুপ নেয়। তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের প্রচণ্ড তাপে বাড়ছে গরমের অনুভূতি। সেটা বেলা ৩টার পরও আরো কিছুটা বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  যা গত ১ মাস ১০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানায় জেলা আবহাওয়া অফিস।

তাপমাত্রার পারদ চড়ায় দিনমজুর থেকে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে তীব্র গরমে কষ্ট পেতে হচ্ছে। সকাল ১০টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তীব্র রোদের কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া দুরুহ হয়ে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গা কোট মোড় এলাকার পথচারী আব্দুল আলিম বলেন, বেলা ১২টার বাজার আগে তীব্র তাপদাহের কারনে রাস্তায় লোকজন কমে গেছে। রোদে বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না।” রোদের তাপে মুখ ও হাত পুড়ে যাচ্ছে । চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজারের বাসের কলার বয় ইসাহক আলী বলেন, রোদের কারনে রাস্তা ফাঁকা, সেই করনে ইজি বাইক, বাস ও ত্রিহুইলারে যাত্রী সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ গতকাল রাস্তায় বের হয়নি ।  কয়েকজন ভ্যানচালক জানান রোদের কারণে ইজিবাইক কিংবা বাসে উঠে গন্তব্যে যাচ্ছেন। আমাদের আয়-উপাার্জন একদম কমে গেছে। এদিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ পেটের পীড়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এই কারনে রাস্তায় তৈরী শরবত ও ভাজা পোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, “গত ৪০ দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বুধবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৪০ ভাগ। এর আগে চলতি বছর ২৮ মার্চ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১৮ ভাগ। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াম। যা এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ।

আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ৩৯/৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করতে পারে। ১৫ মে থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এরপর সাগড়ে নিম্নচাপ দেখা দিতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *