স্টাফ রিপোর্টার
আলমডাঙ্গা উপজেলার পার কেষ্টপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় দেবরের কোদালের আঘাতে ভাবির জখম হাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত ডলি বেগম (৩০) আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পারকেষ্টপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের স্ত্রী। অভিযুক্ত সুরুজ আলী (২৮) একই গ্রামের মোঃ সানোয়ার হোসেনের ছেলে।
আহত ডলি বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়িতে টয়লেট তৈরির জন্য একটি কুয়ো খনন করা হচ্ছিল। কুয়াে থেকে যে মাটিগুলো উত্তোলন করা হয় সেগুলো আমি আলাদা জায়গায় সরিয়ে রেখেছিলাম। পরে আমার ছোট দেবর সুরুজ (২৮) বাড়িতে এসে মাটিগুলো নিতে চায়। এ সময় আমি মাটিগুলো দিতে অস্বীকৃতি জানাই এবং তাকে বলি যে মাটিগুলো আমার কাজে লাগবে। তখন সুরুজ ও তার স্ত্রী তানিয়া (২৩) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং আমাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সুরুজ পাশে থাকা একটি কোদাল দিয়ে আমার মাথায় সজরে আঘাত করে। এতে আমার বাম হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা শেষে সার্জারি ওয়ার্ডে প্রেরণ করেন।