ঝিনাইদহ অফিস
ঝিনাইদহে প্রসিদ্ধ সততা অয়েল মিলের সরিষার তেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে পোড়া মবিল মেশানোর দায়ে আশরাফুল নামের এক মিল কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সাজা প্রাপ্ত আসামী আশরাফুল ইসলাম শহরের খন্দকার পাড়ার মৃত তোজাম উদ্দিনের ছেলে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মোঃ মাহবুব আলম এ রায় প্রদান করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্য রাতে ঝিনাইদহের হামদহ এলাকায় শেরে বাংলা অয়েল এন্ড রাইস মিলের মালিক আ. মালেক ও ালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে ব্যবসায়ী নওশের আলীকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করার জন্য তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সততা অয়েল মিলসের ১২ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেয় এই আসামী আশরাফ সহ আরো পাঁচজন। এর পর ঘটনাটি জানাজানি হলে ঐ সময় সারা শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে নওশের আলী ঝিনাইদহ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে এজাহার হিসেবে (মামলা নম্বর এসটিসি-৮৩/১১) রেকর্ড হলে, মামলার আইও এসআই আজিজুর রহমান আদালতে ৭জন কে আসামী করে অভিযোগ পত্র দেন। মামলা চলাকালীন সময়ে ২০২১ সালে হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান। ১৪ বছরের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ মামলার রায় প্রদান করেছেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মাহবুব আলম। রায়ে তিনি আসামী আশরাফ কে যাবজ্জীবন (১৪ বছর) কারাদন্ড দিয়েছেন ও বাকী আসামীদেরকে খালাস প্রদান করেছেন।
মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর পুত্র সততা অয়েল মিলসের বর্তমান সত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ জানান, এ রায়ে তিনি আংশিক সন্তুষ্ট, তবে মূল পরিকল্পনাকারী অর্থদাতা শেরে বাংলা অয়েল এন্ড রাইস মিলের মালিক আব্দুল মালেক সহ সহযোগী আসামীরা খালাস পেয়েছেন বলে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন অন্যান্য আসামীদেরও ছাড় দেয়া হবেনা, তাদেরও শাস্তি নিশ্চিতের জন্য উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।



