অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও হল পর্যায়ে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও সব হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিভিন্ন হল থেকে মিছিল বের হয়ে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে এসে জড়ো হয়েছেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে টিএসসি এলাকায় জড়ো হতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল, শামসুন্নাহার হল, রোকেয়া হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা তাদের হলে অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করে। পাশাপাশি ছেলেদের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হল থেকে মিছিল বের করে পাড়া প্রদক্ষিণ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় জড়ো হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও মিছিলে যোগ দেন।
মিছিলকারীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর’, ‘হলে হলে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘হল কমিটির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘গুপ্ত কমিটির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা স্লোগান দেন।
এদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট থেকে এই মর্মে স্বাক্ষর নেয় যে, আজ ০৮-০৮-২০২৫ রাত ১১টার মধ্যে ছাত্রদলের হল কমিটি স্থগিত করতে হবে। নতুবা কমিটির সদস্যদের হল থেকে বহিষ্কার করা হবে। হলের মধ্যে গুপ্ত রাজনীতি পরিচালনা করা যাবে না। গুপ্ত রাজনীতির সাথে জড়িত সকল ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। ভবিষ্যৎ হলের মধ্যে ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন কর্তৃক প্রদত্ত সৌজন্যমূলক উপহার সামগ্রী গ্রহণ করা যাবে না। হলে সিট প্রদানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা আমলে নেওয়া যাবে না।
এছাড়া রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হলভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি এবং ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি অবিলম্বে বিলুপ্ত করার দাবি জানান। তারা হল প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেন– রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে হল প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে রোকেয়া হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুনরায় তালা ভেঙে রাস্তায় নামবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাতেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।