হাসান নিলয়, জীবননগর
গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের বর্ষায় বৃষ্টি পাত অনেক বেশি। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অতি বৃষ্টিতে ক…ষি জমির অন্যান্য ফসলে ক্ষতি হলেও পাট জাগ দেওয়া নিয়ে এবার দুশ্চিন্তা নেই চাষিদের। বিগত কয়েকবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে আসছে চাষিরা। অনেকেই রাস্তায় পাটগাছ শুকিয়ে পাটখড়ি করেছে। এবার বৃষ্টিতে খাল বিলে পর্যাপ্ত পানি থাকার কারনে পাট চাষিরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। তবে নিচু অঞ্চলের পাট গাছ গুলো ডুবে যাওয়ার কারনে গাছের গোড়ায় পঁচন ধরা শুরু হয়েছে। যার কারনে অপরিপক্ক অব¯’ায় পাটগাছ গুলো কেটে ফেলা হ”েছ। এতে শ্রমিক খরচ বেশি লাগছে ও বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে না চাষিরা।
উপজেলার উথলী, আন্দুলবাড়িয়া, রায়পুর, হাসাদাহ, বাঁকা, মনোহরপুর ও সীমান্ত ইউনিয়নের ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষায় খাল, বিল, বাওড়, পুকুর, ডোবা, জলাশয় ও নিচু জমিতে পানি থৈথৈ করছে। ক…ষকেরা পাট কেটে সেখানেই জাগ দি”েছ। কেউ আবার পাটগাছ আঁটি বেধে গরুর গাড়ি ও পাওয়ার ট্রলি দিয়ে বহন করে খালে বিলে ফেলছে।
উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের পাট চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর পাট চাষ করে পানির অভাবে বিলে জাগ দিতে পারিনি। বাড়ির পাশে গর্তে সেচ পাম্পের সাহায্যে পানি দিয়ে পাট জাগ দিয়েছিলাম। সেই পাটে ভালো রং না হওয়ার কারনে ভালো দাম পাইনি খরচও বেশি হয়েছিলো। এবার আল্লাহর রহমতে বৃষ্টিতে খাল বিল সব ভরে গিয়েছে। পাট জাগ দেওয়া নিয়ে এখন দুশ্চিন্তা নেই আমাদের।
উথলী গ্রামের পাট চাষি আব্দুর রহমান বলেন, এবার পানি বেশি হওয়ার কারনে পাট কেটে জমির পাশেই জাগ দি”িছ। এই পাটগাছ গুলো আঁটি বেধে অনেকগুলো আঁটি একত্রিত করে পানির ওপরে জাগ দেওয়া হবে। পানিতে ডুবে থাকার জন্য জাগের ওপর মাটি, কাঁদা ও কলা গাছ কেটে দেওয়া হবে। ২০-২২ দিন পর পাটগাছ পঁচে গেলে পাটখড়ি থেকে আঁশ গুলো আলদা করা হবে।
বেশি পানিতে পাট জাগ দিলে পাটের আঁশ সোনালী বর্ণের হয়। বাজারে দাম ভালো পাওয়া যায়। পাটের পাশাপাশি এখন পাটখড়ির চাহিদাও অনেক বেশি। প্রতিবছরে বর্ষায় এমন বৃষ্টিপাত হলে পাট চাষে আরও আগ্রহী হবে চাষিরা।