গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা!

তিতুদহ প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন তৈরির জায়গা পরিদর্শন করলেন ডিডি এলজি শারমিন আক্তার। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে বর্তমান চলমান অস্থায়ী কার্যালয়ে তিনি উপস্থিত হন। এ সময় এক গ্রুপ অস্থায়ী কার্যালয় প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন ভবন নির্মানে দাবি জানান। আবার কয়েকজন আওলাদ হোসেনের দান করা জমিতে নতুন ভবন তৈরির কথা জানান। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুটা উত্তেজান ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি সামাল দেন।

এসময় ডিডি এলজি শারমিন আক্তার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ তৈরির জন্য এখানে দুটি জমি সরকারিভাবে রাখা আছে, এক্ষেত্রে কোন জমিতে এটি নির্মাণ হবে এটা স্থানীয় জনগণ বলবে, আর আমরা সর্বদা চাইবো ইউনিয়নবাসী যেখানে খুব সহজে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে সেবা গ্রহন করতে পারে এমন স্থানেই এটি নির্মান করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাইফুল্লাহ বলেন,  এলাকাবাসী সকলে মতামত নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেন এনিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে পরবর্তীতে কোন ধরনের দ্বিমত না হয়। তিনি অত্র ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত থাকা ৯টি ওয়ার্ডের মানুষের মধ্যে উন্মুক্ত হ্যাঁ/না সিদ্ধান্ত নেন। অনেকেই হাত তুলে চিত্রা নদীর তীরে অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশে নতুন ভবন তৈরির সম্মতি দেন। এর বিপরীতে কয়েকজন গড়াইটুপি মাঝ পাড়ার আওলাদ হোসেনের দান করা জমিতে নতুন ভবন তৈরির সম্মতি দেন। পরে সকলে মিলে গড়াইটুপি মাঝপাড়ার সরকারি জমি পরিদর্শন করে। এসময় গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন ৪৯ শতক জমি ২০১৭ সালে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নামে সরকারিকরন হয়, এরপর থেকে জমিটি পড়েই আছে, পরে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, তিতুদহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াহেদ, ছাত্রদল যুবদলসহ স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীরা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *