অনলাইন ডেস্ক
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন গ্লোবাল টেলিভিশনের চিত্রগ্রাহক মামুনুর রশিদ। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের এক সদস্য তাঁর পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে জনসমক্ষে তাঁকে ‘ভুয়া সাংবাদিক’ বলে অপমান করেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে চোর সন্দেহে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এ সময় ঘটনাটি কাভার করতে সেখানে যান মামুন। তিনি বলেন, নারীকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নেওয়ার সময় জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। আমি ক্যামেরায় দৃশ্য ধারণ করতে গেলে পুলিশ সদস্য লিখন দূর থেকেই আমার দিকে তেড়ে আসেন। পরে আমার পরিচয় জানতে চান এবং পরিচয়পত্র কেড়ে নেন। সামনে থাকা অন্যরা মোবাইলে ভিডিও করলেও তাদের থামানো হয়নি।
তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গ্লোবাল টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সনি আজিমকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে লিখনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পুলিশ সদস্যটি পরিচয়পত্রটি ফেরত দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রতিনিধি সনি আজিম বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করা সাংবাদিকের সাংবিধানিক অধিকার। পুলিশ কেন এতে বাধা দেবে? আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়া এবং অপমান করার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে পুলিশের অভিযুক্ত সদস্য লিখন বলেন, আমি তাঁকে সাধারণ লোক ভেবেছিলাম। তাই নাম, ঠিকানা জানতে চেয়েছিলাম। একটু তর্ক-বিতর্ক হলেও পরে বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছি।
তবে মামুনের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন,আইডি কেড়ে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সাংবাদিককে নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছিল মাত্র। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, যা পরে সমাধান করা হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন,আমাদের কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের প্রতি পুলিশ সর্বদা শ্রদ্ধাশীল।