কার্পাসডাঙ্গ প্রতিনিধি
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে বাইতুল মামুর প্রাথমিক ফ্রী চক্ষু মেডিকেল ক্যাম্পে ভুয়া ডাক্তার সেজে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে বাইতুল মামুর প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এই মেডিকেল ক্যাম্পে ফ্রী রোগী দেখানো হবে বলে আগের দিন মাইকিং করে শতাধিক রোগী নিয়ে আসা হয়। এরপরেও রোগীর কাছ থেকে ভিজিট বাবদ ৫০টাকা করে নেওয়া হয়।
ফ্রী ক্যাম্পে টাকা নেওয়ার কথা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জানতে পারে তিনি বিষয়টা দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্রকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে এইচ এম তাসফিকুর রহমান। এসময় তিনি মেডিকেল ক্যাম্প করতে আসা পরিচালক ও কথিত ডাক্তারের সাথে কথা বলেন। সময় তিনি জানতে পারেন ডাক্তার পরিচয়দানকারী তিনি একজন মেডিকেল এ্যাসিট্যান্ড তার যা পরিধি তাতে এভাবে চোখ দেখা তার কোন সঠিক না।
ঝিনাইদাহ হরিনাকুন্ডুর আলী রেজার ছেলে কথিত চক্ষু চিকিৎসক বাইতুল মোকাদ্দাস নিজেদের ভুল স্বীকার করলে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) কে এইচ এম তাসফিকুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের জেল দেন। এসময় জরিমানার ১০ হাজার টাকা নগদে পরিশোধ করে জেলের হাত থেকে রক্ষা পায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মহিবুল্লাহ, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, প্যানেল চেয়ারম্যান সাজিবার রহমান, আলমগীর হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহাবুবুর রহমান, উদ্যোক্তা ওমেদুল হক, হারুন প্রমুখ।