প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে আলমডাঙ্গায় এসে বসলেন বিয়ের পিড়িতে

আলমডাঙ্গা অফিস
ভালোবাসার শক্তি যে কোনো সীমা অতিক্রম করতে পারে-তারই এক বাস্তব উদাহরণ দেখা গেল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। প্রেমিক শোভন মিয়ার টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে ছুটে এলেন জিমনিয়া নামের এক তরুণী। সব বাধা উপেক্ষা করে গতকাল তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
শোভনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামে। প্রায় ১৩ বছর আগে জীবিকার খোঁজে তিনি পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ান তরুণী জিমনিয়ার সঙ্গে, যিনি একটি গার্মেন্টসের দোকানে চাকরি করতেন। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়ায় গভীর প্রেমে।
নয় মাস আগে শোভন দেশে ফেরেন। কিছুদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও ভালোবাসার টান রয়ে যায় অটুট। অবশেষে ২৬ মে সকালে প্রেমিক শোভনের খোঁজে সরাসরি আলমডাঙ্গায় চলে আসেন জিমনিয়া। পরে আইনগত প্রক্রিয়ায় চুয়াডাঙ্গা কোর্টে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ হাজার টাকা। বিয়ের পর শোভন বলেন, ‘ভালোবাসা জাত-ধর্ম মানে না। জিমনিয়া আমাকে আর আমার পরিবারকে যেভাবে আপন করে নিয়েছে, তাতে আমি খুবই গর্বিত।’
শোভনের মা জানান, ‘আমার ছেলে বিদেশে থাকাকালীন প্রেম করেছে, সেটা জানতাম না। তবে মেয়েটি খুব ভালো, সহজেই পরিবারের সঙ্গে মিশে গেছে।’ শোভনের দাদার ভাষ্য, ‘আমাদের সময় এমন কিছু কল্পনাও করা যেত না। এখনকার প্রজন্ম সাহসী। মেয়েটি বিদেশি হলেও অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র।’
শোভন-জিমনিয়ার এই আন্তঃজাতিক প্রেমকাহিনি এখন পুরো এলাকায় আলোচনার বিষয়। অনেকেই বলছেন, সত্যিকারের ভালোবাসা সব সীমারেখা ভেঙে সামনে এগিয়ে যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *