চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৫ মে আম সংগ্রহ শুরু, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩৪ হাজার মেট্রিক টন
স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৫ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৪টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকের মাধ্যমে আম সংগ্রহ কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে জেলা প্রশাসন, কৃষি কর্মকর্তা ও আম বাগান মালিক এবং আম ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, জেলার ৪ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৩ শ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে। এ জমি থেকে ৩৪ হাজার ৫শ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আম চাষের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কৃষক। এর বাইরে বাড়ির আঙ্গিনা ও ছাদে আম গাছ রয়েছে।
সভায় প্রত্যেকের মতামতের ভিত্তিতে গত বছর থেকে ১ দিন এগিয়ে ১৫ মে থেকে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের আম, ২২ মে থেকে হিমসাগর, ২৮ মে থেকে ল্যাংড়া, ৫ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলী ও ২৮ জুন থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে। ১৫ মে সকালে সরকারি মহিলা কলেজের পাশে মহলদারের বাগানে অনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়ার উদ্বোধন করা হবে। গত বছর ১৬ মে আম সংগ্রহ শুরু করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন কোন অবস্থাতেই সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের পূর্বে গাছ থেকে আম পাড়া বা বাজারজাত করা যাবে না। গত বছর ২০২৪ সালে ১৫ মে থেকে আঁটি, গুটি আম ও বোম্বাই জাতের আম, ২৪ মে থেকে হিমসাগর, ৩০ মে থেকে ল্যাংড়া, ৭ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলী ও ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, আম সংগ্রহের জন্য একটি সুনিদিষ্ট সময় প্রয়োজন, এ কারনে আমরা এখাসে বসেছি। ম্যাচুউড হওয়ার আগে যদি গাছ থেকে আম পাড়া হয় তা সুস্বাদু হয়না। সেইজন্য কোন অবস্থাতে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া ও বাজারজাত করা যাবে না। গাছে আম পাকানোর জন্য ইথিলিওর স্প্রে করলে কমপক্ষে ৭ দিন পর আম পাড়তে হবে। এছাড়া আম পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করলে পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুয়ায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচলক কৃষ রায়, প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা দেবাশিষ, জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, সহ-সভাপতি শামসুল আলম মাষ্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিভাগীয় আম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন, বাগান মালিক আব্দুল মোমিন, বজলুর রহমান, জেলা মার্কেটিং অফিসার রাশেদুজ্জামান, জেলা জাসাসের সাধারন সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।