স্টাফ রিপোর্টার:
চুয়াডাঙ্গায় শিশু কাজল ধর্ষন মামলায় মসজিদের মুয়াজ্জিন নাজমুলের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ঘুষিপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে কাজল তারানিবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনির ছাত্র। সে একই সাথে গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাছে আরবি শিক্ষা নিতেন। ২০২৩ সালের ১৫ মে তারিখে মুয়াজ্জিন নাজমুল শিশু কাজলকে সেভেন আপ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পরের দিন ১৬ মে তারিখে ভোরে আরবি পড়তে আসতে বলে। সেই মোতাবেক শিশু কাজল আরবি পড়তে যায়। এ সময় মসজিদে অন্য কোন ছাত্র-ছাত্রী না থাকার সুযোগে আসামী মসজিদের জানালা দরজা আটকিয়ে দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ (বলাৎকার) করে। এ ঘটনায় ১৭ মে শিশুর মা শিরিনা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনকে স্বাক্ষী করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ আলী মিয়া তদন্ত শেষে আদালত রিপোর্ট দাখিল করে। স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামী নাজমুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী শিশুর কল্যাণার্থে ব্যবহার করা হবে।
দণ্ডিত নাজমুল হোসেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের সেলিম মন্ডলের ছেলে এবং হাসাদাহ ঘুষিপাড়া মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত আরবি শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক ছিলেন। রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাড. শাজাহান মুকুল আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
চুয়াডাঙ্গায় শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের মামলায় মসজিদের মুয়াজ্জিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানার অর্থ ভিকটিমকে দেওয়ার নির্দেশ
