ঝিনাইদহে মধুহাটি ইউনিয়ন জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়ন জামায়াতের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতারা ফেসবুকে অপপ্রচার করছে তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাজার গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে মধুহাটি ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মধুহাটি ইউনিয়ন জামায়াতে আমীর জনাব মোক্তার হোসেন, সেক্রেটারি হায়দার আলী, যুব জামায়াতের সভাপতি মাসারুল আফতাব (তুহিন), সেক্রেটারি হাসিবুল ইসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের মসজিদ মিশনের সভাপতি আঃ আজিজ, সেক্রেটারি হাসানুজ্জামানসহ ইউনিয়ন জামায়াতের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন আমীর মোক্তার হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ২নং মধুহাটি ইউনিয়ন এর, ৬ নং ওয়ার্ডে একটি অনাকাংক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের আহ্বান করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানাতে চাচ্ছি যে, ৬নং ওয়ার্ডের জাকির হোসেন খোকনসহ কয়েকজন ৪ মার্চ বিএনপিতে যোগদান করার একটি অনুষ্ঠান করেন। সেই যোগদান অনুষ্ঠানটি সোশাল মিডিয়াতে প্রচার করছে। যোগদান অনুষ্ঠানে নিজ বক্তব্যে জাকির হোসেন খোকন বলেন, সে জন্মসূত্রে বিএনপি এবং ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিল। প্রকৃতপক্ষে জাকির হোসেন খোকনের আসল পরিচয় জাতির সামনে উন্মোচন করা একান্ত প্রয়োজন। গত ৫ই আগস্ট এর পর সে জামায়াতের কিছু মসজিদ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে। প্রকৃতপক্ষে সে জামায়াতের কর্মী নয়। আপনারা জানেন যে, জামাতের কর্মী হতে হলে ২৮ টি বই পড়তে হয়। নিয়মিত দাওয়াতী কাজে অংশ নিতে হয়। নিজ ব্যক্তিগতভাবে জামাতের রিপোর্ট লিখতে হয়। সকল বৈঠকে সময় মতো উপস্থিত থাকতে হয় এবং সামাজিক কাজ করতে হয়। শুধু এটা করলে হয় না জামায়াতের উপজেলা পর্যায়ের কোন দায়িত্বশীল এসে তার ভাইবা নিয়ে যদি কর্মী হওয়ার উপযোগী হয়। তখন উপজেলার দায়িত্বশীল তাকে কর্মী হিসেবে ঘোষণা করেন, এর কোনটাই জাকির হোসেন করেন নাই। তাহলে সে কিভাবে জামায়াতের কর্মী হয়েছে ? সুতরাং সে কখনোই জামাতের কর্মী ছিল না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে কোন টেন্ডারবাজি, দখলদারি, সন্ত্রাসবাদসহ কোন অন্যায়ের স্থান নাই। যার ফলে সে তার ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে না পারার কারনে তার পুরনো ঠিকানা বিএনপিতে ফিরে যায়। সে তার বক্তব্যে আরও একটি কথা উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী লীগের পরিকল্পনায় চলে। এটা এতটাই হাস্যকর যে, সারাদিন মাইক লাগিয়ে প্রচার করলেও বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করবে না। কারণ আওয়ামী লীগ নির্যাতনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের নেতা কর্মীরা বরং যে বা যারা এই কথাগুলো করে বেড়াচ্ছে তারাই আওয়ামী লীগ যে কাজগুলো করতো সে কাজগুলো করে বেড়াচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *