নাজমুল হক শাওন, আলমডাঙ্গা
আলমডাঙ্গায় চলমান চায়না বার ফুটবল টুর্নামেন্টে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন দুই কিশোরী রেফারি- পায়েল আক্তার ও উর্মি খাতুন। মাঠ পরিচালনায় তাদের আত্মবিশ্বাসী ভূমিকা দর্শক-আয়োজক সবার নজর কাড়ছে।আলমডাঙ্গা উপজেলার অনূর্ধ্ব- ১৭ প্রমিলা দলের নিয়মিত খেলোয়াড় এই দুই কিশোরী রেফারি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে আলমডাঙ্গার ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। টুর্নামেন্টের একাধিক ম্যাচে সহকারী ও কেন্দ্রীয় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন তারা। মাঠের পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, নিয়ম-কানুনে দক্ষতা এবং চাপের মুহূর্তে স্থির থাকা- সব মিলিয়ে দুই কিশোরীর রেফারিং এখন স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনের আলোচনার বিষয়। রেফারি ও কোচ সোহাগ আলী বলেন,পায়েল ও উর্মি আমাদের গর্ব। ওরা মনোযোগী, নিয়ম জানে এবং দায়িত্ব পালনেও দারুণ দক্ষ। মেয়েরা চাইলে কী করতে পারে- তারা তার বাস্তব উদাহরণ। তিনি আরও বলেন, এদের দেখে ভবিষ্যতে আরও মেয়েরা রেফারি হওয়ার আগ্রহ পাবে বলে আশা করি।
নিজেদের অনুভূতি জানাতে গিয়ে পায়েল ও উর্মি বলেন, ফুটবল আমাদের ভালোবাসা। খেলোয়াড় হিসেবে খেলি, কিন্তু রেফারি হিসেবে মাঠে দাঁড়ানো ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। প্রথমে ভয় লাগলেও এখন আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। আমরা চাই এলাকার মেয়েরা খেলাধুলায় আরও বেশি এগিয়ে আসুক।
দর্শকসারিতেও তাদের নিয়ে ছিল ব্যাপক ইতিবাচক আলোচনা। অনেকে বলেছেন- দুই কিশোরীর রেফারিং মাঠে শৃঙ্খলা ও ম্যাচের মান বাড়িয়েছে।
টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি জানায়, আগামী বছরগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পায়েল ও উর্মির পদচারণা সেই পথে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে তারা।
দুই কিশোরী রেফারি মাঠে যে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন- তা শুধু একটি টুর্নামেন্টের সাফল্য নয়; আলমডাঙ্গায় নারী ফুটবল ও নারী নেতৃত্বের নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দিয়েছে বলে মত ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।



