হাসান নিলয়, জীবননগর
বিএনপিতে সন্ত্রাসী-দুষ্কৃতিকারীর কোনো জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে সরজমিনে নিহত হামজা ও মিন্টার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সাথে দেখা করেন ও সার্বিক খোঁজ খবর নেন তিনি।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি বাবু খান বলেন, অপরাধীর কোন দল, ধর্ম, বর্ণ থাকে না। এই ঘটনার সাথে জড়িতরা যদি বিএনপির কোনো পদে থাকে এবং দোষী প্রমানিত হয় তাহলে আমাদের প্রথম কাজ হবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা। এই পরিবার যেন ন্যায় বিচার পাই সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোন ব্যক্তি বা নেতা বাধা সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি শান্তি প্রিয় দল এখানে কোনো সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীর জায়গা নাই।
পরে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সন্তোষপুর, মনোহরপুর, সিংনগর ও উথলী গ্রামে ভেঙে যাওয়া ৪টি ব্রীজ পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় দল। আমামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ৩০০টা আসনে ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিক আর অনানুষ্ঠানিকের কিছু নাই। প্রতিনিয়ত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তারা যার যার অবস্থান থেকে ধানের শীষের প্রতীক যাতে বিজয়ী লাভ করে সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে। আজকে আমরা এখানে এসেছে উথলী ইউনিয়নের ৪টা ব্রিজ অতি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। সে ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছি, কত দ্রুত এই ব্রিজগুলো তৈরি করা অথবা মেরামত করা যায়।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বাবু খান বলেন, এটা হলো আমাদের যারা প্রতিপক্ষ সম্ভাব্য, তাদের অতি উৎসাহ। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই বলি নাই যে এখানে আমি নির্বাচন করব না। আবার এখান থেকে আমি নির্বাচন করব সেই ঘোষণাও দিতে পারছি না, দল যদি নমিনেশন না দেয়। বিজিএমইএ নির্বাচনে সভাপতি হওয়ার পর আমার ওপর বাড়তি কিছু দায়িত্ব, জাতীয় দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব আমি পালন করছি। আগামীতে দল নমিনেশন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করব। এবং এটা নির্ভর করছে আমাদের দলের নেতা, কর্মী, জনগণের ওপরে। জনগণ যদি চায় অবশ্যই নির্বাচন করব। তো এটা নিয়ে ধোঁয়াশা কেউ কেউ তৈরি করছে, সেটাই কান না দেওয়ায় ভালো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দীন জাহিদ, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জিল্লুর রহমান, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক নাজমুল হুসাইন, সদস্য সচিব আরমান আলী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অমিত খান, সাধারণ সম্পাদক রানা আহম্মেদ সহ উথলী ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।