স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ এর সাথে আইনজীবীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ বার লাইব্রেরী পরির্দশন করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা সাধারণ সম্পাদক আহসান আলী সঞ্চালনা করেন। সভায় বারের পক্ষ থেকে অ্যাড. রুবিনা পারভীন বিচারপতি জাফর আহমেদকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ক্রেস্ট উপহার প্রদান করেন। মতবিনিময় সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন সিনিয়র আইনজীবী মাহতাব হোসেন। সভায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌশুলী (জিপি) আব্দুল খালেক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএম শাহজাহান মুকুল, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ.স.ম. আব্দুর রউফ, হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উল্লাহ বেল্টু, সিনিয়র আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন খান, আব্দুস সামাদ, বজলুর রহমান, সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, সোহরাব হোসেন (২), ফজলে রাব্বী সাগর, নাজমুল হাসান লাভলু পরামর্শমূলক আলোচনা অংশগ্রহন করেন। সভায় আইনজীবীরা চুয়াডাঙ্গার আদালতসমূহে নানা অনিয়ম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। আদালতের নকলখানা, প্রসেস সার্ভার, কর্মচারীদের দৌরাত্ম ও বিচারপ্রার্থী মানুষের অবর্নর্ণীয় কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তাদের বসার স্থান না থাকা ও গরমে ফ্যানের কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বিচারপতি জাফর আহমেদ বলেন, বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। এখানে ভয়ংকর গরম। প্রত্যেকে বিচার প্রক্রিয়ায় আইনের অংশ। রাতারাতি কিছু হবে না। ফ্যান সেট করতে হবে। গরমে বিচারপ্রার্থীরা কষ্ট করছে। আইনজীবীদের মামলায় ভালো প্রস্তুত হলে ভালো রায় দেওয়া সম্ভব হয়। সেজন্য আইনজীবীদের ভূমিকা অপরিসীম। লিগ্যাল এইডে মহিলা আইনজীবীদের অংশগ্রহন দরকার। একটা অংশ নিয়ে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। সকলের অংশ গ্রহন করা দরকার। পারিবারিক আদালতে আলাদা একাউন্ট করতে হবে। সেরেস্তাদারের কাছে মামলা সংক্রান্ত কোন টাকা জমা থাকবে না। নকলখানায় ফটোকপি ও অনলাইন ভিত্তিক আবেদন করার বিষয়ে কি করা যায়, চিন্তাভাবনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরীর উন্নয়নের জন্য দুই লাখ টাকার বই উপহার হিসেবে দেয়া হবে। কর্মচারীদের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন নির্মাণে ডিজাইন দেখাতে বলেছি। এ ভবন আগামী ৩০/৪০ বছর কিভাবে চলতে পারে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জেলা সীমান্তবর্তী এলাকা। মাদক একটি বিরাট সমস্যা। কাল (সোমবার) সার্কিট হাউজে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারি আইনজীবীদের সাথে সভা করে পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে।